কেন ব্যথানাশক ওষুধ এড়িয়ে যাওয়া উচিত?

অনেককেই দেখা যায় ব্যথানাশক ওষুধ হরহামেশাই খেয়ে থাকে। আবার অনেকে না জেনেবুঝে দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ খায়। দীর্ঘদিন ধরে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে তীব্র ব্যথা হলে তো ব্যথানাশক ওষুধ খেতেই হয়! তাই দীর্ঘমেয়াদি হোক বা স্বল্প মেয়াদি, কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে ব্যথানাশক ওষুধ খেলে শরীরে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে সে কথা।
লিভারের ক্ষতি করে
ব্যথানাশক ওষুধ লিভারের ক্ষতি করতে পারে। কিছু ব্যথানাশক ওষুধ রয়েছে যেগুলো দিনে আটটি (৫০০ গ্রাম) খেলে লিভারের ভীষণ ক্ষতি হয়।
পাকস্থলীতে ব্যথা এবং আলসার
কিছু ব্যথানাশক ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে পাকস্থলীর আবরণে প্রদাহ হয়। এটি আলসার তৈরি করতে পারে।
বিষণ্ণতা বাড়ায়
ব্যথানাশক ওষুধ বিষণ্ণতা রোগে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। তাই যাঁরা বিষণ্ণতার ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের দীর্ঘমেয়াদি ব্যথানাশক ওষুধ খেতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা।
কিডনি অকার্যকর
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ কিডনি ক্ষতির কারণ হতে পারে। আর যাদের এরই মধ্যেই কিডনির রোগ রয়েছে তাঁরা এ বিষয়ে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
গর্ভপাত ঘটায়
ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ, বিশেষ করে গর্ভকালীন প্রথম ২০ সপ্তাহে, গর্ভপাত ঘটিয়ে দিতে পারে। তাই এ সময়টায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
গ্যাসট্রিক প্রদাহ
ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া গ্যাসট্রিকের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে খেলে। তাই যাঁরা বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার আগে এসিডিটির ওষুধ খেয়ে নেওয়া প্রয়োজন।