বয়স বাড়িয়ে দেয় খাদ্যাভ্যাস!
বেশির ভাগ লোকেরই ওজন বাড়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য। এ ছাড়া প্রতিদিনের কিছু বাজে অভ্যাস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ আমাদের বুড়িয়ে দেয় বয়সের তুলনায়। আসলে বয়স প্রথমে বাড়ে ভেতর থেকে এবং পরে বাইরে এর প্রভাব দেখা যায়।
অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীর ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে হাড়, ত্বক, মস্তিস্কের গুণগত মান কমে যায়। এটি বয়সকে দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। এতে অনেককে কম বয়সেই বেশি বয়সী মনে হয়।
আসুন জানি, কোন খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের বুড়ো লাগে। লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এই বিষয়গুলোর কথা।
প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া
প্রক্রিয়াজাত খাবারে যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয় বা খাদ্য উপাদান ব্যবহার করা হয়, সেগুলো সময়ের আগেই বয়স্ক দেখানোর প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাবার খান।
বেশি চিনি খাওয়া
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশি চিনি খাওয়া অকালবার্ধক্য তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত চিনি বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়। গবেষকরা বলেন, চিনি ত্বকের নমনীয়তার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
দেরি করে খাওয়া
অনেকেই রয়েছেন যারা দেরি করে খাবার খান। সঠিক সময়ে না খাওয়া ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি অকাল বার্ধক্য তৈরি করতে পারে। তাই সময় মতো খান। এটি শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করবে।
মানসিক চাপের সময় খেলে
মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে অনেকে বেশি খেয়ে ফেলেন। মানসিক চাপের জন্য নিঃসৃত হরমোন করটিসল হজমের জন্য ভালো নয়। এই সময় শরীর পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুব চাপের সময় বেশি খাবার খেলেও সেটা শরীরে প্রভাব ফেলে।
ভাজাপোড়া ও গ্রিল খাবার
ভাজাপোড়া ও গ্রিল- এসব খাবার খেলে ত্বকে প্রভাব পড়ে। এসব খাবারে থাকা উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য তেমন উপকার করে না। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করা খাবার খান।
মদ পান
আপনার যদি অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকে তবে এটি আপনার তারুণ্যকে মুছে দেবে। তাই এই অভ্যাসও ত্যাগ করা জরুরি।
কম ঘুমানো
ত্বক ভালো রাখতে এবং তারুণ্যদ্বীপ্ত রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো জরুরি। কম ঘুমানো এবং বেশি মানসিক চাপ অকাল বার্ধক্যের একটি বড় কারণ। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ধ্যান করুন। এ ছাড়া দৈনিক অন্তত সাত থেতে আট ঘণ্টা ঘুমানো নিয়মে পরিণত করুন।