কখন ব্যায়াম করবেন, কখন নয়
প্রতিদিন ব্যায়াম করা সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। ব্যায়াম শরীরকে ফিট এবং কর্মক্ষম রাখে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, সকালের চেয়ে বিকেলে ব্যায়াম করা বা হাঁটা ভালো। তবে তার মানে এই নয় যে, সকালের ব্যায়াম ভালো নয়। তবে বিকেলে ব্যায়াম বেশি উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য।
আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান বা ভালো স্বাস্থ্য পেতে চান তাহলে ব্যায়ামের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তবে কোন সময়টি আসলেই আপনার ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত, সেটি জানা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এর কথা।
বিকেলে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ সময় শরীরের তাপমাত্রা উচ্চপর্যায়ে থাকে। দিনের এই সময়ে শরীর বেশি ঘাম তৈরি করে।
সকালে
আপনি হয়তো শুনলে আশ্চর্য হবেন, সকালে ব্যায়াম করার সবচেয়ে ভালো সময় ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। এই সময়ে শরীর কর্মক্ষম থাকার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত থাকে এবং বিপাকও উচ্চ হারে হয়।
ঠান্ডা লাগলে
আপনি কি ঠান্ডার (সর্দি কাশি) সময় ব্যায়াম করবেন? অবশ্যই ব্যায়াম করবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কারণ এটি আপনাকে আরো ভোগাতে পারে। এসময় বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। তবে সম্পূর্ণ বিষয়টিই নির্ভর করছে আপনার শরীরের অবস্থার ওপর।
ঋতুস্রাবের সময়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঋতুস্রাবের সময় ব্যায়াম করা যাবে। এটি ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। তবে এই সময় শরীর খুব খারাপ থাকলে ব্যায়াম করবেন কি না, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ক্লান্ত থাকলে
ব্যায়ামের একটি ভালো সময় হলো ক্লান্ত থাকাকালীন। এই সময় ৩০ মিনিটের একটি ব্যায়াম রক্ত চলাচলকে ভালো করবে। এটি আপনার শরীরকে আরো কর্মক্ষম করবে।
পেশি ব্যথায়
প্রথম প্রথম ব্যায়ামের পর পেশি ব্যথা হয়। যদি এই সময় পেশি ফুলে যায় তবে ব্যায়াম করবেন না। এতে পেশি আরো আহত হতে পারে। এক-দুদিন পর ব্যায়াম করুন।
খাবার পর
ভারী খাবারের পরপর ব্যায়াম করবেন না। এতে হজমে সমস্যা হবে এবং হজম ধীরগতির হবে। এটি অন্ত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।