অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন যে পাঁচ খাবারে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেশন (জারণ) প্রক্রিয়াকে কমাতে সাহায্য করে। অক্সিডেশনের কারণে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-জাতীয় খাবার খেলে কোষ স্বাস্থ্যকর থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-জাতীয় খাবার ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কাজ করে। এটি ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেতে হলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এ জাতীয় খাবার রাখা জরুরি।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারের কিছু চমৎকার উৎসের কথা।
১. লেবু
এই সাইট্রাস ফলটি ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও শক্তিশালী উৎস। সাইট্রাস ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণে খাদ্যতালিকায় লেবু রাখতে পারেন।
২. বাদাম
বাদাম ভিটামিন ই-এ ভরপুর একটি খাবার। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস। কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ করতে কাজ করবে।
৩. ব্রকলি
ব্রকলি ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস। পাশাপাশি এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়। এ ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে স্যালেনিয়াম। এটি শরীরের জন্য ভালো।
৪. মাছ
মাছের মধ্যে রয়েছে স্যালেনিয়াম। এটি মানব শরীরকে সুরক্ষা দেয়, ভালো রাখে। বিভিন্ন ধরনের মাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
৫. লাল চাল
লাল চাল সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। এটি কম ক্যালরি সমৃদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে পলিফেনল। এটি অক্সিডেশন (জারণ) প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা মেটাতে খাদ্যতালিকায় লাল চালও রাখতে পারেন।