গরম থেকে দ্রুত মুক্তি
চলছে গ্রীষ্মকাল। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সাধারণত কর্কটক্রান্তীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে সূর্য লম্বাভাবে কিরণ দেয়। ফলে এ সময় খুব গরম পড়ে। গরমের কারণে পানিশূন্যতা, হিট স্ট্রোক ইত্যাদি অসুখ হয়। যেগুলো মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। তবে কে বলেছে গরম থেকে মুক্তির উপায় নেই! কিছু সাধারণ বিষয় একটু খেয়াল করে মেনে চললেই গরম থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যেতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া দিয়েছে গরম থেকে দ্রুত মুক্তির কিছু পরামর্শ।
১. সূর্যের প্রত্যক্ষ তাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব প্রয়োজন না হলে গরমের সময়টায় বাইরে বের না হওয়াই ভালো। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।
২. লাইব্রেরি বা হোটেলে অর্থাৎ যে জায়গায় এয়ারকন্ডিশন রয়েছে এমন জায়গায় সময় কাটান।
৩. সাদা রঙের বা হালকা রঙের পোশাক পরুন। কালো রঙের পোশাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কালো রঙের পোশাক শরীর থেকে তাপ বের হতে দেয় না।
৪. অযথা রিকশাচালক বা ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। এতে মাথার গরম ছড়িয়ে গিয়ে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে!
৫. রাস্তায় চলাচলের সময় যদি খুব বেশি গরম লাগে তবে গাছ খুঁজে নিয়ে ছায়ায় দাঁড়াতে পারেন। এতে অক্সিজেন পাবেন এবং কিছুটা আরাম বোধ হবে।
৬. খুব গরম লাগলে তরমুজ, ডাবের পানি খেয়ে নিতে পারেন।
৭. গরমে পানিশূন্যতা বেড়ে যায়, তাই সঙ্গে পানির বোতল ও খাবার স্যালাইন রাখুন।
৮. জুস খেতে পারেন। তবে রাস্তার জুস পরিহার করুন। কেননা এ থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। এই সময় ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিংয়ের মতো সমস্যা বেড়ে যায়। তাই রাস্তার খাবার খাওয়ার বেলায় সতর্ক থাকুন।
৯. কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম সব সময়ই কাজে দেয়।
১০. শরীরের তাপ বেড়ে গেলে কুচকি বা বোগলের নিচে আইস প্যাক রাখতে পারেন।
১১. এ সময় ভাজা, ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। কেননা এ ধরনের খাবার অস্থিরতা বাড়িয়ে দেবে।
১২. গরম থেকে রক্ষার জন্য বাসায় ফিরে শাওয়ার ছেড়ে একটা গোসল নিন। এরপর ট্যালকম পাউডার মাখুন। এটা দ্রুত গরম থেকে মুক্তি দেবে, ফুরফুরেও লাগবে।
১৩. তবে খুব গরম লাগলে সঙ্গে সঙ্গে বেশি ঠান্ডা জায়গায় যাবেন না বা ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাবেন না। এতে তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। একটু অপেক্ষা করে গরম থেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পরিবেশে যান। ফ্রিজের খাবার খাওয়ার সময়ও একটু সতর্ক হোন।