হ্যামবার্গার খেলে কী হয়
হ্যামবার্গার খেতে কার না ভালো লাগে! দুই পাশে রুটির স্লাইস আর মাঝখানে লাল মাংসের পুর এই খাবারটিকে করে তোলে অত্যন্ত লোভনীয়। তবে বেশি ফাস্টফুড বা হ্যামবার্গার জাতীয় খাবার কিছুটা সময়ের জন্য আনন্দ দিলেও এই খাবার বেশি খাওয়া বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে আপনাকে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। আসুন জেনে নিই কী হয় হ্যামবার্গার খেলে।
মস্তিস্ক
ফাস্টফুডকে বলা হয় ‘সহজ খাবার’। যা সহজে বা কম সময়ে পাওয়া যায়। তাই সময় বাঁচাতে বা বাড়ির তৈরি খাবার বানানোর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই ফাস্টফুডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। লাল মাংসের ( গরু, খাসি ইত্যাদি) বার্গারে রয়েছে এমাইনো এসিড যা মস্তিস্কের হরমোন সেরোটোনিনকে উদ্দীপিত করে এবং সুখী হরমোনের নিঃস্বরণ বাড়ায়। যা কিছুক্ষণের জন্য ভালো অনুভূতি দেয়।
হৃদপিণ্ড
লাল মাংস রয়েছে স্যাচুরেটেট চর্বি। দীর্ঘদিন ধরে স্যাচুরেটেট চর্বি খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া বার্গারে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ লবণ যার ফলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃদযন্ত্রের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
রক্তস্রোত
২০১২ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, কেবল একটি মাত্র ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া হৃদযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে রক্তস্রোতকে প্রভাবিত করে। গবেষণাটি প্রকাশ হয় ক্যানাডিয়ান কার্ডিওলোজি জার্নালে। লাল মাংসের স্যাচুরেটেট ফ্যাট দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে বাড়িয়ে দেয়। তবে লাল মাংসের ভালো দিক হলো, এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ আয়রণ, ভিটামিন বি ১২ এবং জিংক। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রক্তের শর্করা
হ্যামবার্গারের পরিশোধিত কার্ববোহাইড্রেট দ্রুত পরিপাক হয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
হাঁড় এবং পেশি
লাল মাংস রয়েছে ভালো পরিমাণে প্রোটিন; যা দ্রুত শক্তি দেয়, হাঁড় এবং পেশিকে ভালো রাখে।
ওজন বৃদ্ধি
ফাস্টফুড রয়েছে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি। এই বাড়তি ক্যালোরি দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং বিভিন্ন রোগ তৈরি করে।
তাই খেতে ভালো লাগলেও রোগ হওয়ার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো বলে মতামত পুষ্টিবিদদের।