ডায়াবেটিস রোগীদের স্নায়ুর জটিলতা কমাতে মাছের তেল
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি খুব জটিল একটি সমস্যা। ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর রক্তের এই অতিরিক্ত শর্করা স্নায়ুর ফাইবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিশেষ করে পা এবং পায়ের পাতার স্নায়ু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হাত-পায়ে ঝিম ধরা, হাত-পা অবশ লাগা, শক্তি কমে যাওয়া এগুলো এই রোগের লক্ষণ। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, মাছের তেল ডায়াবেটিসের এই প্রচলিত জটিল সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অনেকটাই সাহায্য করে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে এ তথ্য।
গবেষকরা বলেন, ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি বা স্নায়ুর ক্ষতি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৫০ শতাংশ লোককে প্রভাবিত করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যাতে রয়েছে বিভিন্ন মাছের তেল, এই অবস্থার উন্নতি ঘটায়।
গবেষকরা আরো বলেন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রোগের সম্পূর্ণ প্রতিকার করতে না পারলেও অবস্থা থেকে উন্নতি ঘটাতে অনেকটাই সাহায্য করে। এই রোগ সর্ম্পূণভাবে ভালো করে তেমন কোনো চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমলে অবস্থার অনেকটা উন্নতি ঘটে।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড স্নায়ুর কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলেন, মাছের তেল ডায়াবেটিস রোগের কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে স্নায়ুকে রক্ষা করে। এ টি ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথির হার কমায়; প্রতিরক্ষামূলক এক ধরনের অনু তৈরি করে, যা স্নায়ুকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
আরো একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ওজনাধিক্য এবং রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে; লিভারের প্রদাহ রোধেও এটি কার্যকর।
ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি রোগ কমিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মাছের তেল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছে। যেমন: টুনা, সারডিন্যাস, মাকেরেল ইত্যাদি। এ ছাড়া রূপচাঁদা, ইলিশ এবং পাঙ্গাশ মাছে সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায় এটি।