স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক মেডিটেশন ছড়িয়ে যাক সর্বত্র
বর্তমান বিশ্বে সংক্রামক ব্যাধির চেয়ে অসংক্রামক ব্যাধির প্রকোপই বেশি। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মেদস্থূলতা , বিষণ্ণতা, অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, স্ট্রেস ইত্যাদির ফলে মৃত্যুর হার ক্রমশই বাড়ছে। এইসব অসুস্থতা থেকে মুক্ত থেকে সুস্থ কর্মক্ষম জীবন পেতে সচেতন মানুষ তাই ঝুঁকছেন এখন লাইফস্টাইল পরিবর্তনের দিকে।
আর লাইফস্টাইল পরিবর্তনের একটি বড় উপাদান হলো দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন বা ধ্যানচর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা। দিনে ২০-৩০ মিনিট ধ্যানচর্চা হতে পারে প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক।
সঙ্গে বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস, যোগব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম, ভালো ঘুম, ইতিবাচক চিন্তা, হাসি ইত্যাদি যুক্ত হলে তো কথাই নেই। অসংক্রামক ব্যাধির দৌরাত্ম্য কমে যাবে। বেড়ে যাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা ও প্রাণচাঞ্চল্য। ফলে সংকুচিত হবে চিকিৎসা-ব্যয়। যা ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ফেলবে ইতিবাচক প্রভাব।
আশার কথা, আমাদের দেশে সামগ্রিকভাবে এখন মেডিটেশন ও সায়েন্টিফিক লাইফস্টাইল নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগে. (অব.) ডা. আব্দুল মালিক, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহল মনে করছেন, পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্যে বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজন মেডিটেশন।
‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’- বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের এ প্রতিপাদ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে সুস্থ সবল কর্মউদ্যোগী মানুষের কোন বিকল্প নেই। তাই মেডিটেশনকেও সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।