বর্ষাকালে কতটুকু পানি পান করবেন?
পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞরা দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন। পানি যে শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তা নয়, এটি ত্বকের জন্যও উপকারি। পানি পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে। গরমকালে আমরা সবাই অতিরিক্ত ঘামের কারণে ডিহাইড্রেটেড বোধ করি। তাই এ সময় তৃষ্ণা পায়। কিন্তু বর্ষাকালে আমাদের তৃষ্ণা কম পায়। তাই আমরা পানিও কম পান করি। এ জন্য শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। কিন্তু বর্ষাকালে একজনের কতটা পানি পান করা উচিত? পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
শ্বেতা বিশ্বাস করেন যে, সমস্ত বড় সমস্যার পিছনের প্রধান কারণ হল ডিহাইড্রেশন। আমাদের শরীরে ৭০ শতাংশ পানি থাকে। শরীরের কোষগুলোতে পানি না পৌঁছালে তা নিস্তেজ হয়ে যায়। শারীরিক নানা কার্য সম্পাদনের জন্য কোষগুলোর পানির প্রয়োজন হয়। বর্ষাকালে পানির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে শ্বেতা বলেন, “নিজেকে শীতল রাখার জন্য কমপক্ষে ৩-৩.৫ লিটারের পানি প্রয়োজন। পানির অভাব থাকলে দিন শেষে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন। তাই যেকোনো ঋতুতে পানি পান করা জরুরি”। পানির অভাব দেখা দিলে প্রস্রাবের রং হলুদ দেখায়। ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য বোধ হয়।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে বর্ষা মৌসুমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে, শরীর পুরোপুরি হাইড্রেটেড থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যাবে। ত্বক চকচকে এবং প্রাণবন্ত দেখাবে। কিডনি, লিভার এবং পাকস্থলী সম্পর্কিত সমস্যাগুলোও হ্রাস করবে।
ত্বকের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে চুলের স্বাস্থ্যর জন্যও উপকারি। বর্ষাকালে আমাদের চুল আঠালো হয়ে যায়। কিন্তু, সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে চুল উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যকর এবং মজবুত হয়ে ওঠবে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া