‘ব্রিকস’ সম্মেলনের আগে ভারতের সঙ্গে ‘সম্পর্ক সহজের চেষ্টা’ চীনের
‘ব্রিকস’ সম্মেলনের আগমুহূর্তে ভারত সফর করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি অনেক বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে বেইজিং। তাই, সম্মেলনের আগে আলোচনায় বসে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হালকা করার চেষ্টা করছে চীন। খবর এএনআই’র।
পলিসি রিসার্চ গ্রুপ (পিওআরইজি) জানিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে লাদাখে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত-চীনের সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থানে দুই দেশের মধ্যেই সংকট তৈরি হয়েছিল। কয়েক বার সেনাবাহিনীর পর্যায়ে, এমনকি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও কাজ হয়নি। এবার ওয়াং ই’র বৈঠকেও কোনো ফল হয়নি বলে এএনআই জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকের যেকোনো ফলাফলে অবাক হবেন না চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এখানে তাঁর কোনো পছন্দ বা অপছন্দের বিষয় নেই; চীনের সুবিধার কথা বিবেচনায় তিনি এ সফরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও বলা হয়, চীন নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রমাণ করতে আক্রমণাত্মক, উসকানিমূলক ও নগ্ন আচরণ করতে পারে না। আনুগত্যের পাশাপাশি তাদের অন্যান্য দেশের সঙ্গে নিজেদের দ্বন্দ্ব মিটমাট করার চেষ্টা করতে হবে, বিশেষ করে ভারতের মতো দেশের ক্ষেত্রে, যাদের সীমান্তে চোখরাঙানি দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
চীন এখনও নিশ্চিত নয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের জিয়ামেন শহরে ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেবেন কি না। তাই, ব্রিকসের আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে মোদির ওপরে চাপ তৈরির চেষ্টা করতে হতো ওয়াং ই’কে।
‘ব্রিকস’ হলো উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচটি দেশের জোট। দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বছরের জুনে জিয়ামেনে ব্রিকসের সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে চীন। আর, এ সম্মেলন সফল করতে প্রত্যেকটি দেশের অংশগ্রহণ জরুরি।