আগামী মাসে ক্ষমতা ছাড়ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/01/19/niujilyaandd-chbi.jpg)
নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তার কাছে আর কিছু অবশিষ্ট নেই জানিয়ে জেসিন্ডা আরডার্ন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মাসে তিনি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন।
ছয়টি ‘চ্যালেঞ্জিং’ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার সময়টা কীভাবে তার জীবনকে প্রভাবিত করেছে তা বিশদভাবে বলার সময় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের লেবার পার্টির নেতৃত্ব থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির আগেই সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তার পরিবর্তে কে নেতৃত্বে আসছেন তা নির্ধারণ করতে সামনের দিনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর জেসিন্ডা আরডার্ন (৪২) জানান, তিনি গ্রীষ্মের ছুটিতে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন। সংবাদকর্মীদের তিনি বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম এই সময়টা জুড়ে সামনে এগিয়ে যেতে আমার কী দরকার তা আমি খুঁজে পাবো, তবে দুঃখজনকভাবে আমি তা পাইনি, আর এই পদে থেকে কাজ করে যাওয়াটা নিউজিল্যান্ডের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না।’
২০১৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে জেসিন্ডা যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সে সময়টাতে তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সি নারী সরকার প্রধান। এর এক বছর পর বিশ্বের দ্বিতীয় নেত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মা হন তিনি।
কোভিড অতিমারি, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুক হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির উদগীরনের সময়টা জুড়ে তিনি নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জেসিন্ডা বলেন, ‘শান্তির সময় দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া এক রকম আর সংকটময় সময় জুড়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়াটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম।’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/01/19/niujilyaandd-skrinn-shtt.jpg)
সাম্প্রতিক সময়ের জরিপগুলোতে দেখা যায় তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে। তবে নির্বাচনে লেবার পার্টি জয় লাভ করতে পারবে না এমন ধারণা থেকে তিনি পদত্যাগ করছেন না বলে জানিয়েছেন। জেসিন্ডা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এক দল নতুন মানুষকে কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিতে হবে।’