সিজোফ্রেনিয়ার অন্যতম কারণ জেনেটিক্যাল
সিজোফ্রেনিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিজোফ্রেনিয়া সবচেয়ে ক্রনিক একটি রোগ। অনেকেই সিজোফ্রেনিয়া বা জটিল মানসিক রোগে ভুগছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ০.৬ ভাগ শতাংশ, মানে এক হাজার জনের মধ্যে ছয়জন সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেব কী কারণে সিজোফ্রেনিয়া হয়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে সিজোফ্রেনিয়া রোগের কারণ সম্পর্কে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
একজন স্বাভাবিক মানুষ সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে কিনা এবং এরকম কোনো কারণ জানা গেছে কিনা, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে জেনেটিক। যেখানেই আপনি যাবেন না কেন, আপনার জন্ম কিন্তু আপনার সঙ্গেই থাকবে। আমরা অনেকে এটাকে অস্বীকার করতে চাই। আসলে এক্ষেত্রে জীন হলো– একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এটাকে জেনেটিক ফ্যাক্টর বলে। যদি কোনো পরিবারে বাবা-মায়ের যে কোনো একজনের সিজোফ্রেনিয়া থাকে, তাহলে তাদের সন্তানের শতকরা ১২ ভাগ সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবার যদি এক ভাই অথবা এক বোনের সিজোফ্রেনিয়া থাকে, তাহলে আরেকজনের ১২-১৪ ভাগ সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাবা-মা দু‘জন যদি সিজোফ্রেনিয়ায় ভোগেন, তাহলে একটি সন্তানের শতকরা ৫০ ভাগ সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ দুইটি বাচ্চার মধ্যে একটি বাচ্চার সিজোফ্রেনিয়া হবে।
তারপর যদি কেমিক্যালের কথা বলি। এটিকে আবার অন্যভাবে ভাগ করতে পারি। সেটা হলো—বায়ো-সাইকোসোস্যাল। এটি আবার তিন ধরনের। যথা: বায়োলজিক্যাল কোর্স, সাইকোলজিক্যাল কোর্স ও সোস্যাল কোর্স। আরও বায়োলজিক্যাল কোর্সের মধ্যে চিকিৎসকরা সবচেয়ে যে বিষয়টার প্রতি গুরুত্ব দেয় বা চিকিৎসা করে, সেটা হচ্ছে নিউরো-ট্রান্সমিটার বা নিউরো কেমিক্যালস। মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে এক ধরনরে কেমিক্যালস থাকে, সেই কেমিক্যালসের মধ্যে ব্যত্যয় ঘটে। ডোপামিন নামে একটি নিউরো-কেমিক্যালস আছে। এটির কার্যক্রম যদি একটু বেশি হয় বা হাইপারঅ্যাকটিভিটি হয়, তাহলে সিজোফ্রেনিয়া রোগ হয়। অন্যান্য কেমিক্যালসও আছে কিন্তু ডোপামিনকে চিকিৎসকরা প্রধান লক্ষ্যবস্তু বলে বিবেচনা করে থাকেন। তাই আমরা যদি ডোপামিনের বিষয়টি বুঝতে পারি, তাহলে এই রোগের চিকিৎসাটা সহজ হয়ে যায়।
সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।