হামাসের হাতে জিম্মি ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ ইসরায়েলি
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সামরিক সংগঠন হামাসের হাতে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিক জিম্মি রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খবর বিবিসির।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র লে. কর্নেল জোনাথন কনরিকাস জানান, জিম্মিদের মধ্যে কেউ কেউ বেঁচে আছেন, আবার কেউ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিম্মিদের মধ্যে শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও পঙ্গু লোকও রয়েছেন।
জোনাথন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যত লোককে ধরে নিয়ে গেছে, তা কল্পনাতীত। এ বিষয়টিই যুদ্ধ কোন দিকে যাবে, তা নির্ধারণ করে দেবে।’
হামাস বলেছে, তাদের হাতে আটক লোকের সংখ্যা যেকোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি। আটকদেরকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘জিম্মি করা লোকজনের পরিণতির জন্য হামাস দায়ী থাকবে। আর তাদের কোনো ক্ষতি হলে জড়িতদের সঙ্গে হিসাব মিটিয়ে ফেলা হবে।’
এদিকে, অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বেশকিছু ভিডিওতে হামাস যোদ্ধাদের হাতে বন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের দেখা গেছে। এর মধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বন্দিদের নিয়ে একটি ট্রাক জনতার ভিড়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে গাজায় একজন নারীকে টেনে হিঁচড়ে ট্রাকের পেছন থেকে নামাতে দেখা যায়। এ সময় তার রক্তাক্ত দুই হাত পেছনে বাঁধা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে এসে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন।
অন্যদিকে, গাজা উপত্যকার বাইরে দক্ষিণাঞ্চলের দুটি অবস্থান থেকে বেশ কয়েকজন অপহৃত ইসরায়েলিকে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা মুক্ত করেছেন। কিব্বুজ বিইরি এলাকার একটি বাড়ির ডাইনিং রুম থেকে কয়েকজন জিম্মিকে ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে প্রায় ৫০ জনকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।