ব্রণ নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
ব্রণের সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। ব্রণ প্রধাণত দেখা দেয় মুখে- এছাড়া বুক- পিঠে ও ঘাড়ে। বেশির ভাগ ব্রণই অসংক্রামক। তবে খোঁটাখুঁটি করলে সংক্রমণ ঘটে, ব্রণের মধ্যে পুঁজ হয়। ব্রণ সৌন্দর্যেরহানি করে।
তাই ব্রণ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন থাকে। ব্রণ নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। এ সম্পর্কে কুসংস্কারও অনেক। ব্রণ সম্পর্কিত প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা তুলে ধরা হলো-
- ব্রণ ছোঁয়াচে নয়, ব্রণের নেপথ্যে কোনো জীবাণুর ভূমিকা নেই। ব্রণের পেছনে এন্ড্রোজেন হরমোন, সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ডের যোগাযোগ আছে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা লিভারের গণ্ডগোল ব্রণ হয় এমন ধারণার কোনোই ভিত্তি নেই। অনেকের ধারণা ব্রণের শাঁস বের করে শাঁস বের করে দেওয়া ভালো, আসলে কথাটি ঠিক নয়। ব্রণ টিপলে বা খুঁটলে ইনফেকশন হয়ে মুখে বিশ্রী দাগ হয়। ব্রণের শাঁস ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। এটি কমাতে রয়েছে ‘কমোডন এক্সাট্রাক্টর’ নামক পদ্ধতি। এগুলো চর্ম- বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে করা উচিত।
- ব্রণ হলে অনেকে মুখে এটা সেটা লাগানো শুরু করে। কোনো তৈলাক্ত প্রসাধন তখন লাগানো উচিত নয়। মুখে কিছু লাগাবার আগে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই লাগানো উচিত।
- চকোলেট, আইসক্রিম, মিষ্টি- এগুলো খেলে ব্রণ বাড়ে বলে মনে করেন অনেকে। এগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
- কেউ কেউ ভাবেন, যাদের যৌনতাড়না বেশি তাদেরও ব্রণ বেশি হয়- এটিও ভ্রান্ত ধারণা।
- ব্রণের দাগ সারাতে ডাবের পানি বা দুধের সরের কোনো ভূমিকা নেই।
- ব্রণের কোনো অ্যালোপেথিক চিকিৎসা নেই- এ ধারণাটি পুরোপুরি ভুল। ব্রণের প্রকৃত চিকিৎসা ডার্মাটোলজির আওতাভুক্ত। ব্রণের চিকিৎসায় রয়েছে- বেনজাইল পার অক্সাইড, ট্রেটিনয়েন ( রটিন এ ক্রিম), ইরাইথ্রোমাইসিন প্রভৃতি ওষুধ। ক্রায়োসার্জারি, ডার্মাএব্রেশন, কোলাজেন ইনজেকশন। চর্ম বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধায়নে বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা রয়েছে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ