ওজন নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবারকে ‘না’
অনেকেই মনে করেন কিছু খাবার ধীরে ধীরে খাওয়া বাদ দিলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমন : ভাত অথবা স্ন্যাকস। তবে গবেষকরা বলছেন, যদি সত্যিই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে কিছু খাবার ধীরে ধীরে নয় একেবারেই বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। ইয়াহু হেলথ জানিয়েছে সেসব খাবারের নাম।
যেসব খাবারে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে
যখন আপনি ক্র্যাকার্স খাচ্ছেন, শুকনো সেরিয়াল, রুটি বা ভাত খাচ্ছেন তখন আপনার শরীর কার্ববোহাইড্রেটকে সহজ শর্করায় পরিণত করে। এটি সরাসরি রক্তের মধ্যে যায়। রক্তে অতিরিক্ত শর্করা হলে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, এটি দেহের শর্করা দ্রুত শোষণ করতে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কাবোর্হাইড্রেট জাতীয় খাবারে ফ্যাট থাকে যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে । তাই এসব খাবার অল্প খাওয়াই ভালো।
হিমায়িত খাবার
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে দীর্ঘদিন ফ্রিজে রয়েছে এমন খাবার না খাওয়াই ভালো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। খাবার বেশি দিন ফ্রিজে রাখলে সোডিয়াম খাবারের ভেতর পানি ধরে রাখে। এটি আপনাকে মোটা করে দিতে পারে। তাই ফ্রিজে রাখা খাবার এড়িয়ে চলুন।
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার
আমাদের দেহে আঁশযুক্ত খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। আঁশযুক্ত খাবার ক্ষুধা প্রতিহত করে,পরিপাক পদ্ধতি এবং পাকস্থলিকে ভালো রাখতে কাজ করে। কিন্তু উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানান গবেষকরা। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। একটি স্ন্যাক বারে ২৫ গ্রাম আঁশ (ফাইবার) থাকে। গবেষকরা জানান, এর পরিবর্তে সবজি এবং ফল খেয়ে প্রাকৃতিক আঁশ গ্রহণ করা ভালো।
প্রক্রিয়াজাত চর্বিহীন (লো ফ্যাট) খাবার
গবেষকরা বলেন, প্রক্রিয়াজাত লো ফ্যাট বা চর্বিহীন খাবার তৈরি করতে খাদ্য প্রস্তুতকারকরা চিনি ও কৃত্রিম সুগন্ধী ব্যবহার করে। যা ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং দেহের ক্ষতি করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে লো ফ্যাট খাবার পরিহার করুন।
জুস
প্রাকৃতিক ফলে থাকে ফ্রুকটোজ, যা ফলকে মিষ্টি করে। গবেষকরা জানান, বাসি ফলের জুস খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। গবেষকদের উপদেশ, জুস না খেয়ে ফল খাওয়া ঢের ভালো।
কৃত্রিম মিষ্টি জাতীয় পানীয়
ডায়েট সোডা এবং কৃত্রিম চিনি আছে এমন পানীয় খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ কখনোই সম্ভব নয় বলে জানান গবেষকরা। তাই এ ধরনের পানীয় এড়িয়ে যেতে হবে। এর পরিবর্তে শুধু পানি বা লেবু পানি পানের পরামর্শ দেন গবেষকরা।
অ্যালকোহল
যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অবশ্যই অ্যালকোহল ছাড়তে হবে। অ্যালকোহল দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়; এটি লিভারের জন্য খুব ক্ষতিকর।