শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বাড়ছে, কীভাবে বুঝবেন?
আমাদের দেহে বিভিন্নভাবে বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে। শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফরমালিন দেওয়া ফল ও সবজি, ধুলাবালি ইত্যাদির মাধ্যমে দেহে বিষাক্ত পদার্থ ঢোকে।
বিষাক্ত পদার্থ শরীরে কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলে। ত্বকের সমস্যা, চোখ ও পেটের সংক্রমণ, টিউমার, অ্যাজমা, হার্টের জটিলতা, বন্ধ্যত্ব ইত্যাদি সমস্যা হয় বিষাক্ত পদার্থ থেকে। শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বাড়ার কিছু লক্ষণ জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. ওজন বাড়া
বিষাক্ত পদার্থ ও ক্ষতিকর রাসায়নিক শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণকারী প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে দেয়। ব্যায়াম না করা এবং ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস মেনে না চলার পাশাপাশি বিষাক্ত পদার্থও ওজন বাড়ার একটি কারণ।
২. অবসন্ন ভাব
আপনার কি সারাক্ষণ ক্লান্তি বা অবসাদ ভাব হয়? দেহে বিষাক্ত পদার্থ বেড়ে গেলে কিন্তু এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিষাক্ত পদার্থ যখন ডাইজেসটিভ ট্র্যাক্টে জমা হয়, তখন খাবার ভাঙার প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়ে পড়ে। এতে ক্লান্তি লাগে।
৩. ত্বকের সমস্যা
দেহে বিষাক্ত পদার্থ বেড়ে গেলে ত্বকের সমস্যা হয়। আমরা অনেক সময় এমন মেকআপ বা স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করি, যেগুলোতে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। এসব বিষাক্ত পদার্থ লোমকূপকে বন্ধ করে দেয় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখায়। এ থেকে ব্রণ, অ্যাকজিমা, বলিরেখা, চোখের নিচের কালো দাগ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
৪. মাথাব্যথা
বিষাক্ত পদার্থ বাড়লে মাথাব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ, বিষাক্ত খাবার ইত্যাদি দেহে প্রবেশ করে স্নায়ু পদ্ধতিকে আক্রান্ত করে। আর এ থেকে মাথাব্যথা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৫. মুখে দুর্গন্ধ
সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখের দুর্গন্ধ দূর না হলে এটি আপনার দাঁতের সমস্যা নয়। দেহে বিষাক্ত পদার্থ বেশি হলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
৬. পেশিব্যথা
আঘাত ছাড়া পেশিব্যথা কিন্তু শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বাড়ার লক্ষণ। অস্বাস্থ্যকর খাবার, পরিবেশের বিষাক্ত পদার্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায় এবং মানসিক চাপ তৈরি করে। এ মানসিক চাপ পেশির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে; পেশিব্যথা বাড়ায়।