রাত জাগলে কী হয়?
যেসব লোকেরা রাত জাগেন, তাঁদের ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সম্প্রতি মানুষের ঘুমানোর অভ্যাসের ওপর করা একটি গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়। ক্লিনিক্যাল এনডোক্রিনোলোজি অ্যান্ড ম্যাটাবোলিজম জার্নালের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েব এমডির একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।
গবেষণাটি করা হয় সাউথ কোরিয়ার এক হাজার ৬০০ লোকের ওপর, যাঁদের বয়স ছিল ৪৭ থেকে ৫৯-এর মধ্যে। গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা সকালে তাড়াতাড়ি ওঠেন, তাঁদের তুলনায় যাঁরা দেরি করে ঘুমাতে যান বা রাত জাগেন, তাঁদের স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি হয়।
কোরিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিনের গবেষক ড. ন্যান হি কিম বলেন, ‘জীপনযাপনের ধরনের জন্য লোকেরা অনেক ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। ধূমপান, রাতে দেরি করে খাওয়া, এসবের মতো রাত জাগাও একটি বদ অভ্যাস। এ কারণেও দেহে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।’
গবেষণার এক হাজার ৬০০ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৯৫ জন রাত জাগেন, ৪৮০ জন সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠেন। আর কিছু লোক ছিলেন যাঁরা খুব বেশি রাত জাগেন না বা ঘুম থেকে খুব তাড়াতাড়িও ওঠেন না।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যাঁরা বেশি পরিমাণে রাত জাগেন, তাঁদের রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি থাকে। এ ছাড়া তাঁরা সারকোপেনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই সমস্যায় শরীরের পেশিশক্তি হারায় এবং কার্যক্ষমতা কমে যায়।
গবেষকরা দেখেছেন, যেসব পুরুষ রাত জাগেন তাঁদের ডায়াবেটিস ও সারকোপেনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর যেসব নারী রাত জাগেন, তাঁদের পেটে মেদ বাড়তে পারে এবং বিপাকীয় সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ারও আশঙ্কা বাড়ে।
ড. কিম বলেন, তাই যেসব তরুণ রাত জাগেন, তাঁদের এসব সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
গবেষণাটিতে রাত জাগলে স্বাস্থ্য সমস্যা হয় এমন কথা উল্লেখ করলেও এর কারণ এবং প্রভাব সম্বন্ধে কিছু বলা হয়নি।