আপনি কি বিষ খাচ্ছেন?
প্রতিদিন খাবার এবং বাতাসের সঙ্গে অনেক জিনিসই আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রায়ই ফাস্টফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাই। এ ছাড়া ভেজাল খাবার তো আছেই। সব মিলিয়ে ভালো উপাদান যেমন আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে, আবার ‘বিষ’ও প্রবেশ করছে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে ১০টি বিষের কথা, যা প্রতিদিনিই আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
চর্বি
প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবারে প্রচুর চর্বি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেনেটেড তেল এবং প্রিজারভেটিভ। এই চর্বি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
কৃত্রিম রং
বিভিন্ন ধরনের খাবারে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম রঙে রয়েছে টক্সিন। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) থেকে কিছু খাবারে রং দেওয়ার অনুমতি থাকলেও এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কৃত্রিম রং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই খাওয়ার আগে প্যাকেটের গায়ে কৃত্রিম রং কতটুকু ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়টি দেখে নেবেন।
কৃত্রিম মিষ্টি অথবা জিরো ক্যালরির সুগার
কৃত্রিম চিনিতে রয়েছে এসপারটমি এবং স্যাকারিন। মানুষের মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে এই ধরনের চিনি আরথ্রাইটিস এবং গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ায়।
সোডিয়াম নাইট্রেট
অধিকাংশ ফাস্টফুডে সোডিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ক্যানসার, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ হয়। তাই তাজা অরগানিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
নন-স্টিক প্যান
নন-স্টিক প্যানে এক ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে যাকে টেফলন বলা হয়। যখন খাবার রান্না করা হয়, তখন এটি বের হতে থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে এই বিষ বেশি মাত্রায় বের হয়। তাই নন-স্টিক প্যান ব্যবহারের পরিবর্তে স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করতে পারেন।
লবণ
খাবারে স্বাদের জন্য আমরা লবণ ব্যবহার করি। তবে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। চর্বিজাতীয় খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে বেশি লবণ দেওয়া থাকে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পেসটিসাইড
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ খাবারগুলোর মধ্যেই পেসটিসাইড থাকে। এই বিষ আপনার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। খাবার আগে ফল এবং শাকসবজি ভালো করে ধুয়ে নিন। এটি পেসটিসাইড দূর করতে অনেকটা সাহায্য করবে।
ক্যাফেইন
বেশি পরিমাণ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে ইনসমনিয়া, বুক জ্বলা, হজমে সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। চা, সফট ড্রিংক এবং এনার্জি ড্রিংক এগুলো ক্যাফেইনের আরো উৎস।
ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান এবং মদ্যপান যে স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর সেটি সবারই জানা। ধূমপান ফুসফুস এবং মুখ গহ্ববরের ক্যানসার তৈরি করে। এমনকি যে ধূমপান করে না তাকেও এটি ক্ষতিগ্রস্ত করে। মদ্যপান লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে,পানিশূন্যতা তৈরি করে।
এসব খাবার প্রতিদিন আমাদের শরীরে কোনো না কোনোভাবে প্রবেশ করছে, যা ধীরে ধীরে শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। তাই এ ধরনের খাবারের পরিবর্তে তাজা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।