কেন আট ঘণ্টা ঘুমাবেন?
আপনি কি জানেন ঘুমের সমস্যা স্তন ক্যানসারের কারণ হতে পারে? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যানসার প্রতিরোধে রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো খুব জরুরি।
ঘুম একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। যেখানে ব্যক্তির চেতনা প্রায় সম্পূর্ণ চলে যায় বা আংশিকভাবে কমে যায়। শরীর ও মন শিথিল হয়ে যায়। ঘুম প্রাণীদেহের জন্য খুব প্রয়োজন। রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানো দেহকে সুস্থ এবং ফিট রাখতে সাহায্য করে। এই অভ্যাস স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ওজনের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এগুলো ছাড়াও রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর রয়েছে অনেক সুফল। লাইফ স্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে আট ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজনীয়তার কথা।
সুস্থ থাকতে
দেহকে সুস্থ রাখতে ঘুম প্রয়োজন। দিনশেষে মস্তিষ্ক শিথিল এবং শান্ত থাকতে চায়। ঘুমের মাধ্যমে শরীরের নষ্ট হয়ে যাওয়া কোষের পুনর্গঠন ঘটে। পরবর্তী দিনের জন্য নিজেকে চাঙ্গা এবং সতেজভাবে ফিরে পেতে রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
মস্তিষ্কের জন্য ভালো
দীর্ঘ সময় কাজ করার পরে মস্তিষ্ক ক্লান্ত বোধ করে। ঘুম মস্তিষ্কের ক্লান্তভাব দূর করে দেহকে সচল হতে সাহায্য করে।
দীর্ঘদিন বাঁচতে
আপনি কি জানেন, দীর্ঘ জীবনের জন্য আট ঘণ্টা ঘুম খুব প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম দীর্ঘায়ু হতে সাহায্য করে।
প্রদাহ কমায়
প্রদাহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হৃদরোগের,স্ট্রো্ক,ডায়াবেটিস এবং অনেক জটিলতার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে আট ঘণ্টা ঘুমালে এসব ঝুঁকিও কমে। তাই সঠিকভাবে ঘুমান।
ভারসাম্যপূর্ণ ওজন
আমাদের দেহে একধরনের হরমোন রয়েছে, যার নাম লেপটিন। এই হরমোন আপনাকে জানান দেয় আপনার পেট ভরা কি না। যদি আপনি কম ঘুমান তাহলে হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং এর ফলে ক্ষুধার্ত বোধ হয়। আর আপনি বেশি খেয়ে ফেলেন; যা ওজন বৃদ্ধির কারণ। তবে আবার বেশি ঘুমানোও ওজনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। যেমন : কার্ডিওভাসকুলার রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, বুক ভারী ভারী লাগা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। তবে ঘুম মানসিক চাপ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
ভালো যৌন জীবন
যদি ভালো যৌন জীবন চান তবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম খুব জরুরি। কম ঘুম পুরুষের টেস্টোসটেরনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, তাই স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন পেতে ভালোভাবে ঘুমান।
ক্যানসার প্রতিরোধ
সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, যেসব নারী ছয় ঘণ্টারও কম ঘুমান, তাঁদের ৬২ শতাংশ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমান।
রোগ প্রতিরোধ
গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা কম ঘুমান তাঁদের তুলনায় আট ঘণ্টা ভালোভাবে ঘুমান যাঁরা, তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। তাই রোগ প্রতিরোধ করতে ভালোভাবে ঘুমান।
মেজাজ ভালো রাখে
ভালোমতো ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, মেজাজ ওঠানামা করে। তাই মেজাজ ভালো রাখতে আট ঘণ্টা ভালোভাবে ঘুমান।