হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে চান? ৪টি খাবার এড়িয়ে চলুন
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে ফেলা যায়। কেবল হৃদরোগের ঝুঁকি নয়, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, রক্তনালির সমস্যা ইত্যাদি প্রতিরোধ করা যায় খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে চাইলে নিচের খাবারগুলো মাঝেমধ্যে খেতে হবে। আর এগুলো একেবারেই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলে হৃৎপিণ্ড প্রায় পুরোপুরি সুস্থ থাকবে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে যেসব খাবার এড়াতে হবে তার একটি তালিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ান মিলিয়ন হেলথ টিপস। আসুন জানি সেগুলো :
১. লাল মাংস
সাধারণত গরু, খাসির মাংসকে লাল মাংস বলা হয়। এগুলো ডায়াবেটিস ও হৃদরোগকে বাড়িয়ে তোলে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ স্যাচুরেটেড চর্বি। এতে শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। আর তাই হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে এ ধরনের খাবার যতটা কম খাওয়া যায়, তত ভালো।
২. সাদা ভাত, পাস্তা, রুটি
ভাত, পাস্তা, রুটি ও স্ন্যাকস, যেগুলো সাদা আটা ও সাদা চাল দিয়ে তৈরি এগুলোতে ভিটামিন, মিনারেল ও স্বাস্থ্যকর আঁশের উপস্থিতি কম থাকে। পরিশোধিত ভূসি বা ভূসি সমেত খাবার দ্রুত সুগারের রূপান্তরিত হয়। এতে শরীরে চর্বি তৈরি হয়।
খাদ্যতালিকায় এ ধরনের খাবার থাকলে পেটের মেদ জমে। গবেষণায় বলা হয়, মেদের সঙ্গে টাইপ টু ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে। পরিশোধিত চাল বা ময়দার বিকল্প হিসেবে লাল বা বাদামি আটা বা চাল খেতে পারেন।
৩. প্রক্রিয়াজাত মাংস
সসেজ, ব্যাকন, হট ডগস ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত মাংস হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ লবণ ও স্যাচুরেটেড চর্বি থাকে। আর এ জন্য ধরনের মাংস এড়িয়ে চলার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. লবণ
সোডিয়াম বা লবণের পরিমাণ কমালে রক্তচাপ কমতে সুবিধা হয়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। সাধারণত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের এক চা চামচ লবণ খেলেই হয়। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে চিনিও কম খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।