অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবে কী খেতে পারেন?
অ্যাসপিরিন পরিচিত নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটোরি ওষুধ বা এনএসএআইডি হিসেবে। জ্বর, মাথাব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, দাঁতব্যথা কমাতে এ ওষুধ খাওয়া ছাড়াও কখনো কখনো হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে এটি সেবন করতে বলা হয়।
এর কারণ হলো, এই ছোট আকারে শুভ্র সাদা ওষুধটি প্রায় সব ফার্মেসিতেই পাওয়া যায় এবং এটি রক্তকে পাতলা করে। এতে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ হয়। তবে নিয়মিত অ্যাসপিরিন সেবনে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কিডনি ও লিভার অকেজো হওয়া, বমি, বমি ভাব, বুক জ্বালাপোড়া, ঝিমুনি ভাব, পেটব্যথা ইত্যাদি।
খুব জরুরি অবস্থা হলে তো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যাসপিরিন সেবন করতে হবে, তবে দীর্ঘ মেয়াদে এটি সেবনের বদলে কিছু খাবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন।
অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে এমন কিছু খাবারের নাম জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ান মিলিয়ন হেলথ টিপস।
আদা
অনেকেই হয়তো জানেন, আদা বমি, বমি বমি ভাব, হজমের সমস্যা কমাতে উপকারী। তবে এটি বিভিন্ন ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে আদা কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন বা পান করতে পারেন আদা চা।
হলুদ
ব্যথা কমাতে হলুদ আদার মতোই এক গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। ব্যথা কমাতে হলুদ চাও পান করতে পারেন।
আনারস
আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলেইন। এটি জয়েন্টের ব্যথা কমাতে উপকারী। আর এটি প্রমাণিতও। শুধু ব্যথা কমাতেই নয়, আনারস প্রদাহ ও রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজ
ওয়ালনাট, কাঠবাদাম, তরমুজের বীজ, পিক্যান নাট, সিসিম সিড, ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদির মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এ ছাড়া অ্যাভাক্যাডো ও জলপাইয়ের তেলও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডে ভরপুর। এ খাবারগুলোও অ্যাসপিরিনের বদলে ব্যথানাশক হিসেবে উপকার করে বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।