রোগ সারাতে ডিমের খোসা
ক্যালসিয়াম শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে। অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, স্নায়ু এবং পেশির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে, ঘুম ভালো করতে ক্যালসিয়ামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। এটি ত্বক এবং চুলের জন্যও বেশ স্বাস্থ্যকর।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। ডিমের খোসার মধ্যে রয়েছে ৯০ শতাংশ ক্যালসিয়াম। এটি মিনারেলের ভালো উৎস। ডিমের খোসায় রয়েছে আয়রন, কপার, ম্যাংগানিজ, জিংক, ফ্লুরিন, ফসফরাস, ক্রমিয়াম, মলিবডেনাম।
কেবল ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য নয় বা অস্টিওপরোসিস রোধে নয়, উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ডিমের খোসা কার্যকর।
ডিমের খোসার রাসায়নিক গঠনের কারণে একে শরীর সহজেই গ্রহণ করে নেয়। কারণ এর গঠন মানুষের হাড় এবং দাঁতের মতো। শরীরের অবস্থা বুঝে ১.৫ থেকে ৩ গ্রাম গুঁড়ো ডিমের খোসা খাওয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে কিছু প্রণালির কথা।
খাদ্যনালিতে জ্বালাপোড়া, আলসার
ডিমের খোসা ভালো করে ধুয়ে নিন। একে শুকিয়ে গুঁড়ো করুন। এক চা চামচ গুঁড়ো ডিমের খোসার সঙ্গে এক চা চামচ চিনি এবং এক টেবিল চামচ গুঁড়ো ওয়ালনাট মেশান। এটি এক চা চামচ করে ২০ দিন তিন বেলা খান। এতে খাদ্যনালির জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে যাবে।
অন্যদিকে আলসার সারাতে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। ডিমের খোসা নরম হলে এর মধ্যে এক ডেসিলিটার গরম দুধ দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দুই বেলা করে খান।
শক্তি বাড়াতে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে
চার বা পাঁচটি ডিমের খোসা পরিষ্কার করুন। এগুলো গুঁড়ো করে তিন লিটার পানির মধ্যে ঢালুন। এবার পানিসহ গুঁড়ো ডিমের খোসা ফ্রিজে রাখুন এবং পানীয় হিসেবে ব্যবহার করুন। সামান্য লেবুর রস দিয়ে প্রতিদিন দুই অথবা তিন কাপ এই পানীয় খেতে পারেন।
তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত গ্রহণের আগে আপনার পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। কারণ সবার শরীর একরকম হয় না। নানা রোগবালাই ও শারীরিক গঠন হিসাব করেই বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করতে হয়।