শীতে গোসলের সাতকাহন
শীতে গোসলে অনিহা থাকে অনেকের। আবার কেউ কেউ তো অনেক গরম পানি দিয়ে আয়েশ করে গোসল করেন। শীতে গোসলের ক্ষেত্রে আসলে কী করণীয়, এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. আনজিরুন নাহার আসমা। বর্তমানে তিনি পপুলার মেডিকেল কলেজে চর্ম ও যৌন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬১৬তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : শীতে গোসলের বিষয়টি কেমন হবে?
উত্তর : অনেকে যেটি করেন, শীতে খুব বেশি গরম পানি দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে গা ঘষে গোসল করেন। এটি প্রবণতা বাদ দিতে হবে। হালকা গরম পানি দিয়ে খুব দ্রুত গোসলটা শেষ করে ফেলতে হবে।
ক্ষার যুক্ত সাবান এড়িয়ে যেতে হবে। গ্লিসারিনযুক্ত সাবানের ব্যবহারটা বাড়িয়ে দিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি সাবান ব্যবহার করবেন না। আর সাবানের ব্যবহার যদি নির্দিষ্ট জায়গা, যেমন বোগল বা যে অংশগুলো ভাঁজ করা যায়, তাহলে ভালো হয়। এসব জায়গাগুলো বেশি ঘামে। আর ঘষাঘষি করা যাবে না। গোসলের পর তিন মিনিটের ভেতর যদি একটি ময়েশ্চারাইজার লাগায়, তাহলে সেটি ত্বকের জন্য ভালো। পানি যেটি উড়ে যায়, সেটি যেন ধরে রাখতে পারি আমরা। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজার যেমন, ভ্যাসলিন, জলপাইয়ের তেল, গ্লিসারিন, লিকুইড পেরাফিন আমরা ব্যবহার করতে পারি। তার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
আর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শাক-সবজি, ফল খেতে হবে। আর উলের কাপড় এড়িয়ে যেতে হবে। সুতির জিনিস বেশি ব্যবহার করতে হবে। কম্বল ব্যবহার না করে কাঁথা ব্যবহার করতে হবে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তারা যদি এটি পরিহার করে তাহলে ভালো হয়।
আর তার যে রোগটা, থাকে তার চিকিৎসা নিতে হবে। যেমন সে যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়, তাহলে তাকে দেখতে হবে, তার ডায়াবেটিসটা নিয়ন্ত্রণ হবে কি না। ডায়াবেটিস ভালো করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।