ঘরে বসে সর্দিকাশির ১০ সমাধান
এখনকার আবহাওয়াটাই যেন কেমন! কেউ নাক মুছে চলছে, কারো বা খকখক কাশি, কিংবা হুট করে বাঁধিয়ে বসা জ্বরে চোখমুখ লাল করে বসে রয়েছে কেউ। এমন অবস্থা হয়তো আপনারও! টানা বৃষ্টি, বৃষ্টির পর আবার রোদ, স্যাঁতসেঁতে ঘরবাড়ি-সব মিলিয়ে অনেকেই মৌসুমি সর্দিকাশিতে বেজায় ভুগছেন। ভারতীয় ব্লগ রিঅ্যাডোতে ড. অর্চনা অরুণ বাতলে দিয়েছেন সর্দিকাশির প্রকোপ থেকে বাঁচার কিছু ‘ঘরোয়া’ উপায়। ডাক্তারের চেম্বার কি হাইপাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক, এসব ছাড়াই নিজেই হতে পারেন নিজের চিকিৎসক।
১. নাক বন্ধ? হলুদ গুঁড়োর ধোঁয়ায় সমাধান আছে! এক টুকরো কাপড়ে সামান্য হলুদ গুঁড়ো লাগিয়ে নিন। তারপর কাপড়ের একপ্রান্তে আগুন জ্বালিয়ে দিন। যে ধোঁয়া হবে, তা আপনার নাকে ঢুকলেই বন্ধ নাক খুলে যাবে। তবে আগুনের ব্যাপার যেহেতু, কাজেই একটু সাবধান।
২. এক কাপ দইয়ের সঙ্গে একটু তালের গুঁড় মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। হাঁচি বা ঠান্ডার সমস্যা কেটে যাবে।
৩. মধুর সঙ্গে মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খান, দিনে চার-পাঁচবার। চারদিনের মধ্যে ঠান্ডা কেটে যাবে।
৪. এক চামচ আদা যেকোনো জুসের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। এক সপ্তাহের মধ্যে একদম সুস্থ হয়ে যাবেন।
৫. দুই কাপ পানিতে তুলসি পাতার নির্যাস পরিমাণমতো মেশান। তারপর হালকা গরম করে এতে চিনি মিশিয়ে খান। দিনে দুবার করে খেলে ঠান্ডা আর কাশি এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সেরে যাবে।
৬. পুদিনা পাতা দিয়ে চা খান দিন দুবার। কয়েকদিনের মধ্যেই ঠান্ডা সেরে যাবে।
৭. এক কাপ দুধে একটু হলুদ আর একটু মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে দুবার করে খান। এক সপ্তাহের মধ্যে ঠান্ডা সেরে যাবে।
৮. প্রতিদিন একটু করে কমলা খেলে সর্দিকাশি, ঠান্ডা আপনার ধারকাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
৯. শিশুদের যদি ঠান্ডা লাগে, কাশি হয়- তাহলে দিনে মধুর সঙ্গে এক চামচ তুলসির রস মিশিয়ে দিনে তিনবার করে খাওয়ান। কয়েকদিনেই শিশুর অসুস্থতা কেটে যাবে।
১০. কাঁচা বা সিদ্ধ, যেকোনোভাবে প্রতিদিন একটু করে রসুন খান। ঠান্ডা বা সর্দিকাশি আপনার থেকে দূরে থাকবে!