জেনে নিন বেশি ঘুমালে দেহের কী ক্ষতি হয়
দেহ সুস্থ রাখতে ভালো ঘুম জরুরি। তবে বেশি ঘুমানো কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই উপকারী নয়। অতিরিক্ত ঘুমের সঙ্গে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থূলতা, এমনকি বিষণ্ণতার সম্পর্ক রয়েছে।
সাধারণত একজন ব্যক্তির বয়স ও সক্রিয়তার মাত্রার ওপর নির্ভর করে ঘুমের বিষয়টি। একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোই যথেষ্ট। এর থেকে বেশি ঘুমানো ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ঘুমানোর ক্ষতিগুলো জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি।
- ডায়াবেটিস
গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা অতিরিক্ত ঘুমান, তাঁদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
- ওজন বাড়ায়
বেশি ঘুমানো বা কম ঘুমানো ওজন বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি এক গবেষণার ফলে দেখা যায়, যাঁরা প্রতি রাতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের ২১ ভাগ ওজন বাড়ে যাঁরা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান তাদের তুলনায়।
- মাথাব্যথা
যাদের মাথাব্যথার প্রবণতা রয়েছে, তারা বেশি ঘুমালে ব্যথার ঝুঁকি আরো বাড়ে। এর কারণ হলো, বেশি ঘুমানো মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া যারা দিনে বেশি ঘুমায় এবং রাতে জেগে থাকে, তাদেরও মাথাব্যথার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
- বিষণ্ণতা
ঘুমের সমস্যা বিষণ্ণতার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষণ্ণতায় ভোগা ১৫ ভাগ মানুষ বেশি ঘুমায়। এটি সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। বিষণ্ণতা কমাতে বেশি বা কম নয়, পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
- হৃদরোগ
গবেষণায় দেখা যায়, যারা দৈনিক ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমায়, তারা ৩৮ ভাগ বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকে। তবে কী কারণে বিষয়টি ঘটছে, এ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা।
- কোমরব্যথা
ভুল অঙ্গবিন্যাস, টানা বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা, ভারী জিনিস তোলা ইত্যাদি কেবল কোমরব্যথার কারণ নয়। সটান হয়ে বেশি ঘুমানোও কোমরব্যথার একটি অন্যতম কারণ, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। কোমরব্যথা কমানোর জন্য সারাদিন শুয়ে-বসে না থেকে কিছু শারীরিক পরিশ্রম জরুরি বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।