ভাত খেলে বাড়ে নারীর বিষণ্ণতা?
খুবই ঝামেলার বিষয়। বিষণ্ণতার ভয়ে কি এখন ভাত খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে? এখন পর্যন্ত পাকাপাকি ঘোষণা না হলেও একটি গবেষণার ফলাফল কিন্তু জানাচ্ছে, খাদ্য তালিকায় সাদা রুটি এবং ভাত মধ্যবয়স্ক নারীদের ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে সবজি জাতীয় খাবার এই বিষণ্ণতা কমায়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে এই তথ্য। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল প্রকাশ করেছে এই প্রতিবেদন।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়,পরিশোধিত খাবার রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে হরমোন ইনসুলিন দ্রুত বের করে দেওয়ার তাড়া দেয়। এতে শর্করা ভেঙে যায় চট করে। তবে এই প্রক্রিয়া বিষণ্ণতার লক্ষণ তৈরি করে।
গবেষণাটি করা হয় ৭০ হাজার পোস্ট-মেনোপজাল নারীর ক্ষেত্রে। গবেষণার ফলাফলে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং বিষণ্ণতার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। গবেষণা বলছে, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে তিনজন নারী বিষণ্ণতায় ভোগেন। তবে পুষ্টিকর খাবার খেলে এর প্রতিরোধ হয় তো কিছুটা হলেও সম্ভব।
গবেষকরা বলেন, যখন কেউ কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এটি মাপা যায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) স্কেল দিয়ে, এটি এমন একটি স্কেল যা খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ মাপতে পারে।
সাদা রুটি, সাদা চাল হচ্ছে এক ধরনের পরিশোধিত খাবার। সাধারণত যে হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়, সাদা রুটি ও সাদা চাল তার ওপর প্রভাব ফেলে। এটি মেজাজ পরিবর্তন, অবসন্নতা এবং বিষণ্ণতার অন্য লক্ষণগুলো তৈরি করতে পারে।
গবেষকরা পরিষ্কার দেখেছেন যে জিআইর সংখ্যা এবং চিনি, পরিশোধিত ভুসি সমেত খাবারের সঙ্গে নারীদের বিষণ্ণতা রোগ হওয়ার একটি যোগসূত্র রয়েছে। দুগ্ধজাত খাবার, সবজি, সাধারণ ভুসি সমেত খাবার এর পরিমাণ কমায়।
গবেষকরা বলেন, এ বিষয়ে চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন। এ ছাড়া দেখা দরকার যে পুরুষের বেলায় এর প্রভাব কেমন।