অফিসে যেসব অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
অফিসে আমরা প্রাত্যহিক এমন কিছু কাজ করি, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষকরা বলেছেন, সারা দিন অফিসের ডেস্কে বসে থাকলে ক্ষতি হয় স্বাস্থ্যের। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই দিয়েছে এসব অভ্যাসের কথা।
সারা দিন বসে থাকা
অনেকে রয়েছেন যাঁরা সারা দিনই অফিসের ডেস্কে বসে থাকেন, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এক ঘণ্টার বেশি একটানা বসে থাকা ওজনাধিক্যের কারণ হতে পারে।
ভুল অঙ্গবিন্যাস
ডেস্কের সামনের দিকে ঝুঁকে বসা কোমর ব্যথার একটি বড় কারণ। প্রায় ৮০ ভাগ লোক জীবনের কোনো না কোনো সময় এ সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই খেয়াল করুন সঠিক অঙ্গবিন্যাসে বসেছেন কি না।
ডেস্কে বসেই দুপুরের খাবার খাওয়া
ডেস্কে বসেই দুপুরের খাবার খাওয়া আরেকটি বাজে অভ্যাস। এটা দুটো কারণে ভালো নয়। এক, ডেস্কে অনেক ধরনের জীবাণু থাকে; দুই, এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে থাকলে কাজে একঘেয়েমি আসে এবং মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। তাই পরিবেশের পরিবর্তনের দরকার আছে।
অফিসের কমনরুমে খান, এতে সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগও বাড়বে এবং পরিবেশের পরিবর্তন হবে।
পানি কম খাওয়া
কাজের চাপে অনেকেই হয়তো পানি খাওয়ার কথা প্রায় ভুলেই যান। পানি আপনাকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে, রক্ত চলাচল সঠিকভাবে করতে সাহায্য করবে। এটি মস্তিষ্ক কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে। তাই কাজের ফাঁকে পানি পান করুন।
চোখ ঘষা
আপনার কিবোর্ডে রয়েছে অনেক জীবাণু। তাই কিবোর্ড স্পর্শ করে মুখ ও চোখ স্পর্শ করা বা ঘষা কোনো ভালো অভ্যাস নয়। এতে চোখে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।
একসঙ্গে অনেক কাজ
আপনি হয়তো বসকে খুশি করার জন্য একসঙ্গে অনেক কাজ নিলেন, যেটা আপনার আওতার বাইরে। এটা আপনার মানসিক চাপ বাড়াবে। এটিও একটি খারাপ অভ্যাস।
বলবেন না সকালের নাশতা করেননি
অনেকেই রয়েছেন, সকালের নাশতা না করেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। আর অফিসে এসে প্রায় রোজ দিনই বলেন, নাশতা করেননি। এটাও অবশ্যই খারাপ একটা অভ্যাস। সকালের নাশতা না করা শরীরকে অবসন্ন ও দুর্বল করে তুলে। তাই সকালের নাশতা কখনোই বাদ দেওয়া যাবে না।
ছুটি না নেওয়া
ছুটি না নিয়ে একটানা দীর্ঘদিন কাজ করে যাওয়াও ঠিক নয়। এতে শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যই খারাপ হয়। মাসে অন্তত একদিন হলেও কেবল রিল্যাক্স থাকার জন্য ছুটি নিন।
অফিসের বাইরে যান
বর্তমানের অফিসগুলো সাধারণত বদ্ধ হয়, এসব অফিসের কক্ষে রোদ ঢোকে না, বাইরের হাওয়াও ঢোকে না, কারণ এসি চলে। তাই দুই দিন অন্তর কিছুক্ষণের জন্য হলেও অফিসের বাইরে থেকে একটু চা খেয়ে আসতে পারেন। এতে আপনার শরীর রোদ পাবে। আর রোদে যে ভিটামিন-ডি আছে, সেটা তো আমরা সবাই জানি।
গান শোনা
গান শোনা মন ফুরফরে হতে সাহায্য করে। অনেকে আবার গান শুনতে শুনতে বেশ ভালো কাজ করতে পারেন, কাজে মনোযোগও আসে। তবে সারাদিন ধরে কানে হেড ফোন লাগিয়ে রাখা কানের সমস্যা তৈরি করে। অনেকেই রয়েছেন এই কাজ করেন, তাঁদের জন্য সতর্ক বাণীই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।