শরীর ফিট রাখতে সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করুন
সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা কষ্টকর, তাই আমরা লিফট বা চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করা উচিত।
সুস্থ শরীরের জন্য ব্যায়াম, ডায়েট ছাড়াও কিছু শরীরচর্চার প্রয়োজন। হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা এর মধ্যে অন্যতম।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংসপেশির গঠন এবং ভারসাম্য দৃঢ় করতে খুবই কার্যকর একটি কসরত। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশি সুঠাম করতেও সাহায্য করে। লিফট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে কয়েকবার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। হাঁটুর মাংসপেশি মজবুত হওয়া ছাড়াও এতে অনেক উপকার হয়। বার্তা সংস্থা ইউএনবি সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু বিষয় তুলে ধরেছে। সেগুলো হলো—
মাংসপেশিকে সক্রিয় করে
সমতল ভূমিতে দৌঁড়ানো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশিগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধু পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে বেয়ে ওঠার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস ও হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে।
শারীরিক শক্তি এবং ভারসাম্য বাড়ে
সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময় পায়ের স্থির পেশি, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করে থাকে। এই কসরতের ফলে আপনার শারীরিক শক্তি বাড়ে। কসরতের শুরুর দিকে পায়ে টান ধরা বা ব্যথা অনুভূত হলেও পরে নিজেকে তরতাজা লাগবে।
মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ হয়
শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোনগ্রন্থি থেকে ‘ভালো’ হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং মন ভালো থাকে।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামাকে দৈনিক কসরতের তালিকায় ফেলার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো হলো—
১. মেরুদণ্ড সোজা রেখে সিঁড়ি ভাঙুন।
২. প্রথমেই খুব বেশি সিঁড়ি ভাঙবেন না।
৩. যেকোনো স্যান্ডেল বা জুতা না পরে স্পোর্টস শু পরে সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস করুন।