বরবটি কারা খাবেন, কারা খাবেন না
বরবটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি আমিষে সমৃদ্ধও বটে। যাঁদের মাছ-মাংস কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই, তাঁরা বরবটি থেকে প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
এনটিভির নিয়মিত এক স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠানে বরবটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ তপতী সাহা। তিনি বলেন, বরবটিতে আমিষ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, সি; ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো কিছু পুষ্টি উপাদান। বরবটির যদি আরো কিছু গুণাগুণের কথা বলতে হয়, তাহলে এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার কোষ বৃদ্ধি রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তপতী সাহা বলেন, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সিলিকন দরকার। বরবটিতে আছে সিলিকন। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। বরবটির বিচিতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। আমরা জানি, ভিটামিন সি আয়রন পরিশোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বরবটিতে আছে ভিটামিন সি এবং আয়রনও আছে প্রচুর। তাই আমরা কাঁচা অবস্থায় সালাদের সঙ্গে বরবটি গ্রহণ করতে পারি।
এর খাদ্য আঁশ বেশি থাকার কারণে এটি আমাদের হজমপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। আমাদের শরীরে বাড়তি যে চর্বি, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (এলডিএল), সেটাকে জমতে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে আমাদের হার্ট সুরক্ষা পায়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের রোগী যাঁরা আছেন, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বরবটি সাহায্য করে।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, বরবটির যে খারাপ দিক একেবারে নেই, তা বললে ভুল হবে। এর দুটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা যদি আমরা বলি, তবে বলতে হবে যে ডায়াবেটিস যাঁদের আছে, তাঁদের এ সবজিটি বারবার না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। যাঁদের কিডনিতে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি এবং গাউটের সমস্যা আছে, তাঁদের এ সবজিটি পরিহার করাই ভালো।