কোলন ক্যানসার রোগীর ওপর করোনার প্রভাব
নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকাল পুরো বিশ্ব। এ সময় যাঁরা জটিল রোগে আক্রান্ত, বিশেষ করে যাঁরা ক্যানসারে ভুগছেন, তাঁদের সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়া জরুরি।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’-এর একটি পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. রকিব আহমেদ।
এখন করোনা-দুর্যোগ চলছে। এ সময় ক্যানসার রোগীরা কি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বা নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের এড়িয়ে যেতে হচ্ছে কি না? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. রকিব আহমেদ বলেন, এটি ঠিক, করোনা আসলে এমনই একটি রোগ, বিশ্বে নতুনও। বৈশ্বিক মহামারির অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও এটি বিদ্যমান। আমরা সব রকমভাবেই চেষ্টা করছি, যাতে করোনা থেকে রেহাই পেতে পারি। অন্য রোগীদের মতো ক্যানসার রোগীও করোনায় সাফার করছে। যদি আপনি নির্ণয়ের প্রশ্ন তোলেন, তবে অবশ্যই কোলনোস্কপি একটু হলেও করোনার জন্য সীমিত আকারে হচ্ছে। সার্জারির কথা যদি বলেন, সেটাও তো একটু হলেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এখন তো মনে করেন লকডাউনের সময়। মানুষ তো চাইলেও আসতে পারছে না। টাইমলি যে ডক্টরের শরণাপন্ন হবে, এটাও তো একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
সে ক্ষেত্রে যাঁরা ক্যানসারে আক্রান্ত, তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে ট্রিটমেন্টের আওতায় যেতে হয়, এ ক্ষেত্রে তাঁরা আসলে কী করবেন? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. রকিব আহমেদ বলেন, উনি ট্রিটমেন্টের কোন পর্যায়ে আছেন, এটি একটি বিষয়। যদি মনে করেন উনার ট্রিটমেন্ট হয়ে গেছে, ওই ক্ষেত্রে ফলোআপ। ফলোআপের রোগীদের আমি বলব, এত দিন ধরে যে ডাক্তারের মাধ্যমে আপনি ছিলেন, তাঁর সঙ্গে আপনি কথা বলতে পারে। আজকাল তো আমরা ভিডিওর মাধ্যমে ফলোআপটা করতে পারি, ইনভেস্টিগেশন করতে পারি—এই কাজগুলো করছি। আমাদের যদি রিপোর্টগুলো দেখানো হয়, মানে আমি বলতে চাচ্ছি, একটা বড় অংশই ফলোআপে আছে, যাদের খুব রুটিনলি ডক্টরের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে, তা না। আর যাদের অপারেশন-পরবর্তী কেমোথেরাপি হচ্ছে... কেমোথেরাপি তো প্রতিদিনের বিষয় নয়, ২১ দিন পরপর আমরা ইনজেকশন দিয়ে থাকি। তিন সপ্তাহ পরপর আসা যায়, এক দিনেই একটা চিকিৎসা দিয়ে চলে যেতে পারে। রোগী যে চিকিৎসকের টাচে আছে, উনার সাথে যোগাযোগ করেই এটি করতে হবে।
কোলন ক্যানসার ও করোনাকালে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।