নির্ধারিত সময়েই সব বিদেশি সেনাকে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে : তালেবান
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/06/2021-06-29t112031z_1318122804_rc2aao9jsazb_rtrmadp_3_afghanistan-taliban.jpg)
ন্যাটোর নির্ধারিত করা আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সময়সীমার পরও যদি আফগানিস্তানে কোনও বিদেশি সেনা থেকে যায়, তবে তারা দখলদার বাহিনীতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমনটাই বলেছে তালেবান।
এমন সময়ে তালেবান এই কথা বলছে, যখন খবর বেরিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে এক হাজার সেনা রাখতে চায় মূলত কূটনৈতিক মিশন ও কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য।
আফগানিস্তানে ন্যাটোর দুই দশকের সামরিক অভিযান সমাপ্তির অপেক্ষায়। কিন্তু তালেবান নতুন নতুন এলাকা দখল করায় দেশটিতে সহিংসতা বাড়ছে। আফগান বাহিনী যখন এককভাবে দেশটির নিরাপত্তার হাল ধরতে যাচ্ছে তখন কাবুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলেন, সামরিকভাবে কাবুল দখল করা ‘তালেবানদের নীতি নয়’।
কিন্তু কাতারে তালেবানের অফিসে বসে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুহাইল শাহীন বলেন, প্রত্যাহার সম্পূর্ণরূপে শেষ হওয়ার পর কাবুলে কোনও বিদেশি সেনা এবং সামরিক কনট্রাক্টরের থাকা উচিত নয়।
‘দোহা চুক্তির বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যদি কোনও সেনা রেখে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব,’ বিবিসিকে বলেন শাহীন।
তালেবানের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাব এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আমাদের নেতৃত্ব।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, কূটনীতিবিদ, এনজিওকর্মী ও বিদেশি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে না। ফলে তাদের সুরক্ষার জন্য কোনও বাহিনী দরকার নেই।
‘আমরা বিদেশি সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে। কূটনীতিবিদ, এনজিওকর্মী, এনজিও ও দূতাবাসের বিরুদ্ধে নই। আমাদের জনগণের এদেরকে দরকার। আমরা তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াব না,’ যোগ করেন সুহাইল শাহীন।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/07/06/capture_1.jpg 571w)
এদিকে আফগানিস্তানের বৃহত্তম মার্কিন বিমান ঘাঁটি বাগরাম এয়ারফিল্ড থেকে গত সপ্তাহের সেনা প্রত্যাহারের ঘটনাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন শাহীন।
তালেবানের সঙ্গে এক চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটের মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারে একমত হয়েছে। বদলে তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে আল-কায়েদা বা অন্য কোন চরমপন্থি গোষ্ঠীকে তৎপরতা চালাতে দেবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করেছেন এ বছরের সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ। দিনটি ৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্তি।