অ্যাজমা নিয়ে পাঁচ ভুল
গবেষণায় বলা হয়, প্রতি ১০ সেকেন্ডে কেউ না কেউ মারাত্মক অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। অ্যাজমা শ্বাসতন্ত্রের একটি রোগ। অ্যালার্জি-সংক্রান্ত কারণে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় অ্যাজমা হয়। অ্যাজমা প্রতিরোধে নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি। অ্যাজমা নিয়ে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা বা মিথ রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এগুলোর কথা।
১. ভুল ধারণা : শিশুদেরই কেবল এই সমস্যা হয়।
সঠিক : অনেকেই শিশু বয়সে অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। তবে ৪০ বছরের প্রাপ্তবয়স্কদেরও এটি হয়। অনেক নারী মেনোপজের (দীর্ঘস্থায়ী মাসিক বন্ধ হওয়া) সময় প্রথম অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এটি ঘটে।
২. ভুল ধারণা : অ্যাজমা তেমন গুরুতর রোগ নয়।
সঠিক : অ্যাজমা আক্রান্ত এক-তৃতীয়াংশ লোকেরই মারাত্মকভাবে অ্যাজমা অ্যাটাক হতে পারে। অ্যাজমায় আক্রান্ত ৫ শতাংশ মানুষ সব সময়ই শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করে।
৩. ভুল ধারণা : অ্যাজমা হলে ব্যায়াম করা যাবে না।
সঠিক : নিয়মিত ব্যায়াম ফুসফুসের কার্যক্রমকে ভালো রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে শীতের সময়, ধুলাবালিযুক্ত পরিবেশে বাইরে ব্যায়াম না করাই ভালো। তখন ঘরে করা যায়, এমন কিছু ব্যায়াম শিখে নেওয়া যেতে পারে।
৪. ভুল ধারণা : অ্যাজমা রোগীরা সব সময় শোঁ শোঁ শব্দে নিশ্বাস ফেলে।
সঠিক : অনেকের মধ্যে এ সমস্যা না-ও থাকতে পারে। কাশি, বুকে কফ জমা—এগুলোও অ্যাজমার লক্ষণ। এটি সাধারণত শীতের সময়ে বেশি হয়।
৫. ভুল ধারণা : কেবল খুব গুরুতর শ্বাসকষ্ট হলেই ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়।
সঠিক : কেবল গুরুতর শ্বাসকষ্টই নয়, ক্রনিক প্রদাহ প্রতিরোধে এবং ভবিষ্যতে গুরুতর অবস্থা হওয়া রোধ করতে নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করা যায়।