জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সোচ্চার বিশ্ব
নগরায়ণ, আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের নামে বিশ্বের প্রান্তে চলছে অবাধে কার্বণ নিঃসরণ। এতে উত্তাপ বাড়ছে। গলছে বরফ। কিছু জায়গা শুকিয়ে হচ্ছে কাঠ। আর কোথাও কোথাও বাড়ছে বন্যার প্রকোপ।
উল্লিখিত বাস্তবতা মেনে নিয়েই স্থানীয় সময় সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ২১তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিস ২১ (সিওপি২১)। এই সম্মেলনে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা রাখুক—এমনটা প্রত্যাশা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পরিবেশ সচেতন লোকজন। তাঁদের দাবি, এখনই সময় জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সিওপি২১-এর উদ্বোধনের আগের দিন রোববার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দুই হাজারের বেশি সভা-সমাবেশ হয়েছে। এর কোনোটা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। বড় সমাবেশগুলো হয়েছে ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্লিন, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর মতো শহরগুলোতে।
প্যারিস
‘৩৫০ ডট অরগ’ নামের একটি সংগঠনের নেতৃত্বে শহরের প্রাণকেন্দ্র রিপাবলিক চত্বরে সমাবেশ করে কয়েকশ লোক। দেশটিতে জরুরি অবস্থা থাকায় সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। সমাবেশস্থল থেকে আটক করা হয় ২০৮ জনকে। তাদের মধ্যে ১৭৪ জনকে জেলহাজতে রাখা হয়েছে।
বার্লিন
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে শহরটিতে প্রায় ১০ হাজার লোক জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন।
লন্ডন
শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি সমাবেশে ৫০ হাজারের মতো মানুষ অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি লন্ডন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন।
সিডনি, নিউইয়র্ক, সাও পাওলো, মেক্সিকো সিটিসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত লোক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আয়োজিত বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দেন।
২১তম সিওপিতে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের ১৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা। এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চান বিশ্ব নেতারা। আজ ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে এ সম্মেলন চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।