‘লাকি গ্রাউন্ড’ আরো একবার রাঙালেন মুমিনুল
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মানেই ‘লাকি গ্রাউন্ড’। টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুল হকের ক্ষেত্রে কথাটা সবার জানা। নিজের প্রিয় ভেন্যুতে আরেকবার চেনা রূপে দেখা গেল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি আর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি।
চট্টগ্রামের ‘পয়া’ মাটিতে মুমিনুল হকের হাফসেঞ্চুরি মানেই যেন সেঞ্চুরি। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে শতক হাঁকিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির সংখ্যায় দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন মুমিনুল। ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে এতদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন তিনি। এবার ছাড়িয়ে গেলেন দেশসেরা ওপেনারকে। টেস্টে মুমিনুল হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান। তামিম নেমে গেলেন দ্বিতীয় স্থানে।
স্বাগরিকায় প্রথম ছয়বারের হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পেরেছেন মুমিনুল। শুধু সবশেষ টেস্টে পারেননি। এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সেই হতাশাকে দূর করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রাকিম কর্নওয়ালের করা বল কাভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মুমিনুল। তিন অঙ্কের ঘরে যেতে মুমিনুল খেলেছেন ১৭৩টি বল, যাতে ছিল ৯টি বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে থেমেছেন তিনি। ১৮২ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ বাউন্ডারি দিয়ে।
মুমিনুলের সেঞ্চুরির দিনে এরই মধ্যে বড় লিড নিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকেরা এখন ৪০০ রানের লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও এই মাঠে এত রান তাড়া করে জিততে পারেনি কোনো দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের দখলে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতেছিল তারা। এবার জিততে হলে সেই রেকর্ড ভাঙতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।