অনেকের চেয়েই এগিয়ে সাকিব-তামিম
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০৫ সালের মে মাসে। প্রায় এক বছর পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আগমন ঘটেছিল ইংল্যান্ডের সদ্য সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের। অথচ ১২ বছরে মুশফিক খেলতে পেরেছেন মাত্র ৫৩টি ম্যাচ। আর কুক খেলেছেন ১৪০টি। বাংলাদেশ যে টেস্ট ক্রিকেটের অঙ্গনে কতটা অবহেলিত, তা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় পরিসংখ্যানটি। তারপরও শততম টেস্টের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অনেকের চেয়ে এগিয়েই আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
শততম টেস্টে মাঠে নামার আগে সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশের সর্বোচ্চ রান ও উইকেট শিকারিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। সেখানে দেখা যায় নিয়মিত টেস্ট খেলার সুযোগ না মিললেও খুব একটা খারাপ অবস্থানে নেই তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। তাঁরাই বাংলাদেশের পক্ষে সংগ্রহ করেছেন সবচেয়ে বেশি টেস্ট রান ও উইকেট।
২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪৮টি টেস্ট খেলে তামিম সংগ্রহ করেছেন ৩৫৪৬ রান। তামিমের মতো সাকিবও খেলেছেন ৪৮টি ম্যাচ। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের শিকার ১৭০টি উইকেট।
সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশের ৯৯টি ম্যাচ খেলার পর সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের ক্ষেত্রে তামিমের চেয়ে এগিয়ে আছেন পাঁচজন। শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা (৫৬১৯), জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (৪৭৯৪), ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভারটন উইকস (৪৪৫৫), পাকিস্তানের হানিফ মোহাম্মদ (৩৯১৫) ও ভারতের পলি উমরিগর (৩৬৩১)। তামিম পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্লেম হিল (৩৪১২), দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রুস মিচেল (৩৩১৬), নিউজিল্যান্ডের জন রেইড (৩৪২৮) ও ইংল্যান্ডের টম হাওয়ার্ডকে (১৯৯৯)।
বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সাকিবের অবস্থান আরো ভালো। সবগুলো টেস্ট খেলুড়ে দেশের ৯৯টি ম্যাচ খেলার পর সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের ক্ষেত্রে সাকিবের আগে আছেন মাত্র দুজন। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন (২৫৩) ও জিম্বাবুয়ের হিথ স্ট্রিক (২১৬)। সাকিবের পেছনে আছেন ভারতের ভিনু মানকড় (১৬২), ওয়েস্ট ইন্ডিজের সনি রামাদিন (১৫৮), অস্ট্রেলিয়ার হিউজ ট্রাম্বল (১৪১), পাকিস্তানের ফজল মাহমুদ (১৩৯), ইংল্যান্ডের জনি ব্রিগস (১১৮), নিউজিল্যান্ডের ডিক মটজ (১০০) ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিল ভিনসেন্ট (৮৪)।

স্পোর্টস ডেস্ক