ইতিহাস-সেরা রোনালদো
ফাইনালের ফলাফলটা অনুমিতই ছিল সবার, কেবল গোল ব্যবধানটা জানার জন্য অনেকে টেলিভিশনের সামনে চোখ রেখেছিলেন। ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। জুভেন্টাসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে রোনালদো-বেল-বেনজেমারা। জোড়া গোল করেছেন রোনালদো। ১২ গোল করে এই মৌসুমে লিওনেল মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন সিআরসেভেন। ছুঁয়েছেন ৬০০ গোলের মাইলফলক। এই ম্যাচে আর একটি বিরল রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন রোনালদো। প্রথম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের তিন ফাইনালে গোল করলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
পাঁচ বছর পর লা লিগা জয়ের সুখস্মৃতিটা ধরেই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলতে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। ছিল ডাবল জয়ের হাতছানি। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমের পর রিয়াল মাদ্রিদ কখনো একই মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেনি। এবার সেই অসম্ভবটাকেও সম্ভব করল রিয়াল।
কার্ডিফের ফাইনালে জোড়া গোল করে অনন্য রেকর্ড করলেন রোনালদো। প্রথম ফুটবলার হিসেবে আসরের তিন ফাইনালে গোল করলেন তিনি। এর আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ফাইনালে সর্বোচ্চ দুটি গোল করেছেন এসি মিলানের ড্যানিয়েল মাস্যারো, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কার্ল হেইঞ্জ রিডল, ইন্টার মিলানের হার্নান ক্রেসপো এসি মিলানের ফিলিপ্পো ইনজাঘি ও দিয়েগো মিলিতো। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগের দুটি আসরে গোল করার রেকর্ড রয়েছে মেসি, স্যামুয়েল ইতো ও রাউল গঞ্জালেসের।
২০০৯ ও ২০১১ সালে ইউরোপ-সেরার মঞ্চে গোল করেন মেসি। এর আগে ২০০৬, ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করেন স্যামুয়েল ইতো। এ ছাড়া ২০০০, ২০০২ সালে রিয়ালের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করে রাউল গঞ্জালেস।
তবে কার্ডিফে সবাইকে ছাড়িয়ে যান রোনালদো। ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথমবার ও ২০১৪ সালে রিয়ালের জার্সিতে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে গোল করেন তিনি। শনিবার ফাইনালের ২০তম মিনিটে প্রথম গোল করে ইতিহাসে নাম লেখালেন সিআরসেভেন।
রোনালদো রেকর্ড করলেও পারেননি রামোস। ২০১৪ ও ২০১৬ সালের দুটি ফাইনালের লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক। রোনালদোর মতো তিন ফাইনালে গোল করার বিরল রেকর্ডের সামনে ছিলেন রামোসও। তবে কার্ডিফে বেশ কয়েকবারই হতাশ করেছেন বুফন।

স্পোর্টস ডেস্ক