আবার পাকিস্তান দলে আমির?

স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শেষে ক্রিকেট মাঠে ফিরেছেন বেশ কিছুদিন আগে। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের পর খেলে গেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলেও। এবার মোহাম্মদ আমিরের সামনে জাতীয় দলে ফেরার হাতছানি। পাকিস্তানের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের জন্য ঘোষিত ২৬ জনের দলে রাখা হয়েছে এই বাঁ-হাতি পেসারকে।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে টাকার বিনিময়ে ইচ্ছা করে নো বল করার দায়ে শাস্তি হয়েছিল আমিরের। একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় পাকিস্তানের সে সময়ের অধিনায়ক সালমান বাট এবং আরেক পেসার মোহাম্মদ আসিফকেও শাস্তি পেতে হয়েছিল। এমনকি জেলেও যেতে হয়েছিল তিনজনকে। তবে বয়স কম হওয়ায় আমিরের জায়গা হয়েছিল কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে।
তবে আইসিসির পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ পাতানোর বিরুদ্ধে তদন্তে সাহায্য করার পুরস্কার হিসেবে শাস্তি তিন মাস কমে যায় আমিরের। গত এপ্রিলে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকেই তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কায়দে আযম ট্রফির বাছাইপর্বের চার ম্যাচে ৩৪ উইকেট নেওয়ার পর মূল প্রতিযোগিতায় নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। এরপর বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আমির প্রমাণ করেছেন নিষেধাজ্ঞা তাঁর আগুন ঝরানো বোলিংকে ম্লান করে দিতে পারেনি।
আগামী মাসে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে পাকিস্তান। এই সফরের প্রস্তুতির জন্যই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি আয়োজন করা হয়েছে। এখনই জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েই আমির আপ্লুত। বার্তাসংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা বলার সময় উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি ২৩ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান পেসার, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে সবুজ ক্যাপ আর পাকিস্তানের জার্সির মর্যাদা রক্ষায় নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেব। আশা করি পারফরম্যান্স আর আচরণ দিয়ে সবার মন জয় করতে পারব।’
পরে ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন আমির, ‘আমার সব ভক্ত, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁরা সবসময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন আর উৎসাহ জুগিয়েছেন।’