কেঁদে বিদায় জোকোভিচের
এ বছর নোভাক জোকোভিচ জিতেছেন দুটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। অলিম্পিকেও সার্বিয়ান এই তারকা ছিলেন অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু শুরু হতে-না-হতেই শেষ হয়ে গেল জোকোভিচের অলিম্পিক মিশন। প্রথম রাউন্ডেই হেরে গেলেন আর্জেন্টিনার হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর বিপক্ষে। হতাশাজনক হারের পর কান্নাও আটকাতে পারেননি টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ খেলোয়াড় জোকোভিচ। অশ্রুসিক্ত মুখে বিদায় নিয়েছেন রিও অলিম্পিক থেকে।
২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও মুখোমুখি হয়েছিলেন জোকোভিচ ও দেল পোত্রো। সেবারও জোকোভিচকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন দেল পোত্রো। এবারের রিও অলিম্পিকের প্রথম রাউন্ডেও বিজয়ীর হাসি আর্জেন্টাইন এই তারকার মুখে। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জোকোভিচকে তিনি হারিয়েছেন ৭-৬ (৭/৪), ৭-৬ (৭/২) গেমে।
অথচ ইনজুরির কারণে কয়েক বছর ধরে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল দেল পোত্রোকে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে হাতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল দুবার। পেশাদার ক্যারিয়ারটাই পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে। তবে শেষ পর্যন্ত দারুণভাবেই কোর্টে ফিরেছেন আর্জেন্টিনার এই টেনিস খেলোয়াড়। জোকোভিচের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘হাতের ইনজুরির কারণে আমি ভাবতেও পারিনি যে ম্যাচটা জিততে পারব। এটাই আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ।’
অলিম্পিকের শুরুতেই হতাশাজনক হার দিয়ে বিদায় নিতে হলেও ম্যাচ শেষে দেল পোত্রোকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি জোকোভিচ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘ডেলপো খুবই ভালো খেলেছে। জয়টা তারই প্রাপ্য ছিল। ফলাফল নির্ধারণী মুহূর্তগুলোতে সে অসাধারণ খেলেছে। আমার তাঁকে অভিনন্দন জানাতেই হবে।’
পুরুষ এককে অবশ্য ভালোভাবেই প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরিয়ে গেছেন স্বর্ণপদকের অন্যতম দুই দাবিদার অ্যান্ডি মারে ও রাফায়েল নাদাল। মারে সার্বিয়ার ভিক্টর ত্রোইস্কিকে হারিয়েছেন ৬-৩, ৬-২ গেমে। আর নাদাল আর্জেন্টিনার ফ্রেদরিকো দেলবোনিসের বিপক্ষে পেয়েছেন ৬-২, ৬-১ গেমের জয়।