আবারও গার্দিওলাকে ডোবালেন মেসি

পেপ গার্দিওলার তত্ত্বাবধানেই সাফল্যের শিখরে উঠেছিলেন লিওনেল মেসি। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জিতেছিলেন ১৪টি শিরোপা। টানা চারটি বছর ছিলেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। এখন সেই গার্দিওলার বিরুদ্ধেই গুরুমারা বিদ্যা প্রয়োগ করছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে করেছেন হ্যাটট্রিক। বার্সেলোনাও ম্যানসিটির বিপক্ষে পেয়েছে ৪-০ গোলের বড় জয়। বার্সার অপর গোলটি করেছেন নেইমার।
চার বছর বার্সেলোনার কোচ থাকার সুবাদে মেসিকে খুব ভালোমতোই চেনেন গার্দিওলা। কিন্তু এ সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে আটকানোর কোনো কৌশল এখনো বের করতে পারেননি এই স্প্যানিশ কোচ। ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কোচ থাকার সময়ও মেসির কাছে নাজেহাল হতে হয়েছিল গার্দিওলাকে। সেবার সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে বার্সা জিতেছিল ৬-২ ব্যবধানে। দুটি গোল করেছিলেন মেসি। আর এবার ম্যানসিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিকই করে বসেছেন গার্দিওলার সাবেক শিষ্য। ১৭, ৬১ ও ৬৯ মিনিটে তিনটি গোল করেছেন মেসি। নেইমার ম্যাচের শেষ গোলটি করেছেন ৮৯ মিনিটে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটের মাথায় ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য পরিণত হয়েছিল ১০ জনের দলে। পেনাল্টি এরিয়ার বাইরে এসে হাত দিয়ে বল ধরার দায়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন ম্যানসিটির গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। হারটা এ সময়ই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন গার্দিওলা, ‘বার্সেলোনার বিপক্ষে ১১ জন নিয়ে খেলাও কঠিন। আর ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পরই খেলাটা শেষ হয়ে গেছে।’ বার্সেলোনাও ম্যাচ শেষ করেছে ১০ জনের দল নিয়ে। ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন জেরোম ম্যাথিউ।
ম্যানসিটির বিপক্ষে এই জয় দিয়ে নকআউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে বার্সা। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে কাতালানরা। অন্যদিকে তিন ম্যাচ শেষে ম্যানসিটির সংগ্রহ মাত্র ৪ পয়েন্ট। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।