ম্যানসিটিকে হারিয়ে লিস্টারের চমক
প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাজয়ী লিস্টার সিটির কাছে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এটাকে চমক বলা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারেন অনেকে। তবে গতবারের শিরোপাজয়ী লিস্টার এবারের মৌসুমে যেভাবে খেলছে, তাতে এটাকে চমক না বলে উপায় থাকছে না। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটিকে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে লিস্টার সিটির শিরোপা জয় হকচকিত করে দিয়েছিল ফুটবলবিশ্বকে। তবে এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন দলের মতো খেলতে দেখা যায়নি লিস্টারকে। ১৪ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে একেবারে নিচের দিকে ছিল গতবারের শিরোপাজয়ীরা। নিজেদের ১৫তম ম্যাচে ফেভারিট ম্যানসিটিকে হারিয়ে তাই আবার নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে লিস্টার সিটি। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে ১৪তম অবস্থানে।
নিজেদের মাঠে শুরুতেই লিস্টার এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। তিন মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন জেমি ভার্ডি। দুই মিনিট পরে আরেকটি গোল করে বসেন লিস্টারের মিডফিল্ডার অ্যান্ডি কিং। ২০ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন ভার্ডি। ইংলিশ এই স্ট্রাইকার এখানেই থেমে থাকেননি। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৮ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোল করে পূর্ণ করেছেন হ্যাটট্রিক। ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠেছিলেন ম্যানসিটির খেলোয়াড়রা। ৮২ ও ৯০ মিনিটে দুটি গোল শোধ করতে পেরেছেন আলেক্সান্ডার কোলারভ ও নিলিতো। তবে শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ম্যানসিটিকে।
ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগে এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মতো চারটি গোল হজম করতে হলো পেপ গার্দিওলাকে। এর আগে ২০০৯ সালে স্প্যানিশ লিগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তাঁর বার্সেলোনা হেরেছিল ৪-৩ গোলে। ২০১৫ সালে গার্দিওলার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখের কোচের দায়িত্ব পালনের সময়। সেবার ভল্ফসবুর্গের বিপক্ষে বায়ার্ন হেরেছিল ৪-১ গোলে। আর এবার লিস্টার সিটির বিপক্ষে তাঁকে হারতে হলো ৪-২ গোলে।

স্পোর্টস ডেস্ক