মায়ামিকে হারিয়ে ইউএস ওপেন কাপে চ্যাম্পিয়ন হিউস্টন
লিওনেল মেসি যে ম্যাচে খেলেন, ইন্টার মায়ামিকে হারানো যে কোনো দলের জন্য কষ্টসাধ্য। কিন্তু মেসি যেদিন না খেলেন? সেদিনই হয় যত সমস্যা। দলের সবচেয়ে বড় তারকার না থাকার অভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে মায়ামি। এমএলএসে হোঁচট খাওয়ার পর এবার ইউএস ওপেন কাপের শিরোপা হাতছাড়া করল দলটি।
ইন্টার মায়ামিতে ইতিহাস আগেই গড়েছেন লিওনেল মেসি। প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন দলটিকে। দেড় মাসের মধ্যে দলটিকে আরও একটি শিরোপা জেতানোর সুযোগ ছিল আর্জেন্টাইন তারকার সামনে। তবে চোটের কারণে ফাইনালে খেলতেই পারলেন না ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঘরের মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে হিউস্টন ডায়নামোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে মায়ামি। শেষ মুহুর্তে একটি গোল পরিশোধ করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ম্যাচের শুরু থেকেই মায়ামি শিবিরে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে হিউস্টনের ফুটবলাররা। ২২তম মিনিটে কুইনোনেসের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। কিন্তু দলকে বেশিক্ষণ রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়ে যান হিউস্টনের গ্রিফিন ডোরসি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি এই ফুটবলার। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া মায়ামি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। প্রথম গোল হজমের মিনিট পাচেক পরেই ফের পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। এবার ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে পেনাল্টির সুবাদে ব্যবধান ২-০ করে আমিন বাসি। এরপর মায়ামি আর তেমন কোনো আক্রমণ করতে না পারায় এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় হিউস্টন।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের আধিপত্য বজায় রাখে হিউস্টন। মাঝে বেশকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে হিউস্টন, তবে অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে ব্যবধান না কমাতে পারলেও অতিরিক্ত সময়ে জোসেফ মার্তিনেজের গোলে ব্যবধান ২-১ করে মায়ামি। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর সময় না থাকায় হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের।