বুমরাহর গতিতে বিপর্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিাহাসে ফাইনালে দলীয় সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের পুঁজি গড়েছে ভারত। তাই রান তাড়ায় রেকর্ড গড়ে জিততে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। তবে, হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ঝড়ো ব্যাটিং করলেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে প্রোটিয়ারা। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২০ রান।
প্রথম শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান। যা ভারতের মতো বিশ্বসেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে বেশ কঠিন। সেই কাজটাই আরও কঠিন করে দেন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন প্রোটিয়া ওপেনার রেজা হেনরিকসকে।
জাসপ্রিত বুমরাহর বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন রেজা হেনড্রিকস। ৫ বল খেলে ১ চারে ৪ রান করে যান তিনি। এরপর তৃতীয় ওভারে ফেরেন অধিনাক এইডেন মার্করাম। আর্শদীপ সিং এর বলে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা রিশাভ পন্থের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৫ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
মাত্র ১২ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। এরপর ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটা করে যান ডি কক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজন ৩৬ বলে দলীয় সংগ্রহে ৫৮ রান যোগ করেছিলেন। কিন্তু এরপরই বিদায় নেন স্টাবস। দলীয় ৭০ রানের মাথায় অক্ষর প্যাটেলকে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। ২১ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান আসে তার ব্যাট।
এরপর ক্লাসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুতই একশ পার হয় প্রোটিয়াদের। তবে, দলীয় ১০৬ রানের মাথায় ফেরেন ডি কক। ৩১ বলে ৩৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর মিলারকে নিয়ে দারুন জুটি গড়েন ক্লাসেন। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
এর আগে, বিরাট কোহলি, অক্ষর প্যাটেল ও শিবম দুবের ব্যাটে ভর করে ফাইনালে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করেছে ভারত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে তারা তুলেছে ১৭৬ রান।