বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি খুব একটা নেই। তামিম, মাহমুদউল্লাহর পর মুশফিকও বিদায়ের মাধ্যমে হিসেবে বেছে নিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমকে। মাঠ থেকে বিদায় দিতে না পারলেও ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা বিসিবির।

মুশফিকের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এটা (মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা) আমরা পরিকল্পনা করব। এটা তো খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। মুশফিক তো সম্ভবত দেশের একজন কিংবদন্তি। দীর্ঘ ১৯ বছরের পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ ক্রিকেট যে আজকে এই অবস্থায় এসেছে, তার মধ্যে সে অন্যতম একজন নাবিক, যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পথ দেখিয়েছে।’

মুশফিকের স্মৃতিচারণ করে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি মনে করতে পারি, ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডে খেলা থেকে শুরু করে, পরে ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত... সে যে পথটা দেখিয়েছে, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার হবে। ক্রিকেট বোর্ড অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে তার সব অর্জন স্মরণ করেছি আমরা। বিসিবি থেকে একটা বার্তা দিয়েছি, আমার লেখা ছিল। আমরা চেষ্টা করব, ক্রিকেট বোর্ড থেকে পরিকল্পনা করব কীভাবে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া যায়।’

জাতীয় দলের জার্সিতে ২০০৫ সালে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকের। পরের বছর  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। তিনি ২৭৪ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ৭৭৯৫ রান করেন। নয়টি সেঞ্চুরি ও ৪৯টি ফিফটি করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।