গল টেস্ট
স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

আগের দিন লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা যে হতাশার জন্ম দিয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বোলাররা যেন সেটাকেই টেনে নিয়ে গেলেন। তাইজুল-নাহিদদের নির্বিষ বোলিং কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটারদের। টাইগার বোলারদের বড় আক্ষেপের নাম ছিল পাথুম নিশাঙ্কা। দিনের প্রায় পুরোটা সময় শান্ত বাহিনীকে হতাশ করেছেন তিনি। গলের উইকেটে ‘রাজত্ব’ করেই তৃতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। এখনো তারা পিছিয়ে ১২৭ রানে। ১৭ রানে অপরাজিত আছেন কামিন্দু মেন্ডিস। আর ১৭ রানে অপরাজিত ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল লঙ্কানরা। তবে সেই জুটিকে ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই ভেঙ্গে দেন তাইজুল ইসলাম। ফিরতি ক্যাচে ফেরত পাঠান লাহিরু উদারাকে। ফেরার আগে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন তিনি।
এরপর বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। দিনেশ চান্দিমালকে সঙ্গে নিয়ে আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরে চান্দিমালকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙ্গেন নাঈম হাসান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে ফেরান সাদমানের ক্যাচ বানিয়ে। হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে চান্দিমাল বিদায় নেন ৫৪ রান করে।
এরপর উইকেট আসেন বিদায়ী টেস্ট খেলা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তিনিও বেশ খানিকটা সময় সঙ্গ দেন নিশাঙ্কাকে। তৃতীয় উইকেটে তারা জুটি গড়েন ৮৯ রানের। মুমিনুল এসে ভাঙেন সেই জুটি। ম্যাথুসকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। এর আগে ৬৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।
বাকিদের যাওয়ার ভিড়ে এতোসময় একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের হতাশা বাড়িয়ে ডাবল সেঞ্চুরির কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ বিকেলে নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন হাসান মাহমুদ। ১৮৭ রান করা লঙ্কান ওপেনারকে আক্ষেপ নিয়ে ফেরান তিনি। নিশাঙ্কার ২৫৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২৩ চার আর এক ছক্কায়।
এরপরে অবশ্য আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি মেন্ডিস আর অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া। পঞ্চম উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়ে তৃতীয় দিন পার করে দেন তারা। ৫৬ বলে ৩৭ রানে মেন্ডিস আর ২৬ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ধনাঞ্জয়া।
আগামীকাল শুক্রবার নতুন দিনের খেলা শুরু করবেন তারা। চতুর্থদিন বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত লঙ্কানদের গুটিয়ে দেওয়া যায়।
এর আগে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১৬ বল। শেষ ব্যাটার হিসেবে আসিথা ফার্নান্দোর বলে উইকেটের পেছনে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন নাহিদ রানা। নামের পাশে তিনি যোগ করতে পারেননি কোনো রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৯০.২ ওভার ৪৯৫
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৯৩ ওভার ৩৬৭/৪ (নিশাঙ্কা ১৮৭, উদারা ২৯, চান্দিমাল ৫৪, ম্যাথুস ৩৯, মেন্ডিস ৩৭*, ধনাঞ্জায়া ১৭*; হাসান মাহমুদ ১২-২-৪৯-১, নাহিদ রানা ১৬-০-৮০-০, তাইজুল ৩৪-৩-১২৬-১, নাঈম ২৫-০-৮৬-১, মুমিনুল ৬-০-২৪-১)