মেসির যেসব গোলে মাখা ছিল সুন্দরের মায়া

গোলের খেলা ফুটবলে শেষ কথা গোলই। কখনও কখনও সেসব গোলে ফুটে ওঠে মায়া। ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির পায়ে রচিত হয়েছিল এমন কিছু মায়াবী গোল, যা ফুটবলপ্রেমীদের মনে গেঁথে গেছে আজীবনের জন্য। ৩৮তম জন্মদিনে মেসির এমন কিছু গোলে চোখ বোলানো যাক।
বার্সায় মেসির প্রথম গোল
ম্যাচের বয়স ৮৮ মিনিট। রোনালদিনহো বল বাড়িয়ে দিলেন ঝাঁকড়া চুলের এক তরুণের দিকে। ডি-বক্সে ঢুকে তিনি দেখলেন মাটি ছুঁয়ে বল ওপরে উঠে গেল। একটু সময় নিলেন। বাম পায়ে চিপ করলেন গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে। বল জড়াল জালে। রোনালদিনহোর কাঁধে চেপে উল্লাসে মেতে উঠলেন ১৭ বছর ১০ মাস বয়সী ছেলেটা। ন্যু ক্যাম্পে তখন উল্লাস।
বেকারকে যেদিন বোকা বানালেন
২০১৮-১৯ মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মেসির ফ্রি-কিক। বাম পায়ে নেওয়া সেই শটটি মানব দেয়াল ঘেঁষে বেরিয়ে বাম পোস্টের টপ কর্ণার দিয়ে জালে জড়ায়। লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার লম্বা এক ডাইভ দিয়েও বলে হাত ছোঁয়াতে পারেননি।
বিলবাওয়ের চারজন কুপোকাত
২০১৪-১৫ মৌসুমের কোপা দেল রে ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি বার্সা। মাঝমাঠ থেকে বাঁ’পায়ের কারিকুরিকে চারজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন মেসিভ বাম পায়ে নেন জোরালো শট। পোস্ট ঘেঁষে তা জড়িয়ে যায় জালে।
মেসিতে নাস্তানাবুদ মাদ্রিদ
২০১০-১১ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমফিাইনালে মেসির পায়ের জাদুদে রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ হন। মাঝমাঠ থেকে সার্জিও বুসকেটসকে ছোট পাস দিয়ে আবার বল নিয়ে রিয়ালের চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন মেসি। মার্সেলো, রামোস, শাবি আলোনসো কিংবা ক্যাসিয়াসদের শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
ম্যারাডোনোকে মনে করানো গোল
২০০৬-০৭ মৌসুমে গেটাফের বিপক্ষে মাঝমাঠ থেকে ৫ জন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে বল জালে জড়ান মেসি। এই গোলটিকে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে দিয়াগো ম্যারাডোনার সেই বিখ্যাত গোলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বোয়াটেংয়ের দুঃস্বপ্ন
২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ইভান রাকিটিচের পাস ধরে বল নিয়ে যান বক্সে। মেসিকে মার্ক করে রাখা জেরোম বোয়াটেং চেষ্টা করেন তাকে আটকাতে। কিন্তু মেসির ডান পায়ের জাদুতে পরাস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যান বোয়াটেং। প্রথমে বাঁ’পায়ের হালকা ছোঁয়ায় বল পরাস্ত করেন বোয়াটেংকে। এরপর ডান পায়ের চিপে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
মেসির চোখে নিজের সেরা গোল
২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাউটের বিপক্ষে করা গোলটিকে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা গোল হিসেবে বেছে নিয়েছেন মেসি। সেবার ফাইনালে স্যামুয়েল ইতোর করা গোলে এগিয়ে ছিল বার্সা। এরপর ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মেসি। ডান পাশ থেকে ক্রস বাড়িয়েছিলেন জাভি। সেটাতে লাফিয়ে উঠে মাথা ছুঁইয়ে বল পাঠান জালে। বোকা বানিয়েছিলেন ইউনাইটেডের রক্ষণকে।