জোড়া সাফল্যে আফগানদের চাপ বাড়াল বাংলাদেশ

নাসুম আহমেদ যে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটারদের ওপর, তা অব্যাহত রেখেছেন অন্য বোলাররা। শামীম হোসেনের এক ওভার থেকে ১৬ রান নেওয়া ছাড়া হাত খুলে খেলতে পারেনি আফগানরা। উল্টো মারতে গিয়ে হারিয়েছে উইকেট। দলীয় ৫১ রানে গুলবাদিন নাইবকে সাজঘরের পথ দেখান রিশাদ হোসেন। ১৪ বলে ১৬ রান করে রিশাদ হোসেনের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন গুলবাদিন।
ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া আফগান ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকেও বিদায় করেন রিশাদ। ৩১ বলে ৩৫ রান করে স্কয়ার লেগে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ নেন জাকের আলী। ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানরা।
বল হাতে আফগানদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
ব্যাটাররা খুব বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি। বোলাররা লড়ে যাচ্ছেন তা নিয়েই। বাঁচা-মরার ম্যাচে বল হাতে শুরু থেকেই আগুন ঝরাচ্ছেন বাংলাদেশি বোলাররা। বিশেষত নাসুম আহমেদের স্পিন ঘূর্ণিতে চাপে পড়েছে আফগানিস্তান।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এশিয়া কাপে নিজেদের গ্রুপে টাইগারদের এটি শেষ ম্যাচ। জিতলে টিকে থাকবে সুপার ফোরে ওঠার সম্ভাবনা। এমন ম্যাচে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৪ রান। তা নিয়েই ভেলকি দেখাচ্ছেন নাসুম।
আফগান ইনিংসের প্রথম বলেই সেদিকউল্লাহ অটলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাসুম। রানের খাতা খোলার আগে নেই এক উইকেট। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেট পেতে পেতেও পায়নি বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের ডেলিভারিতে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন ইব্রাহিম জাদরান। রিশাদ হোসেন মিস করলে বেঁচে যান জাদরান। পঞ্চম ওভারে অবশ্য নাসুমের কাছ থেকে রক্ষা মেলেনি তার। ৫ রান করে জাদরান বিদায় নেন। আবারও দৃশ্যপটে নাসুম, আবারও লেগবিফোর। ১৮ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান।