বাংলাদেশের জয়ের কৃতিত্বটা যাদের দিলেন শানাকা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। ডেথ ওভারে তাসকিন-মুস্তাফিজের ভালো বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ দারুণ এক জয় পেয়েছে। তবে লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা মনে করেন মুস্তাফিজ-তাসকিনের শেষের ওভারেই ম্যাচে পিছিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জয়ের কৃতিত্বটা তাদেরই দিয়েছেন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে আসেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার শানাকা। তার মতে, তাদের মূল ভরাডুবি হয়েছে ম্যাচের শেষ দুই ওভারে। মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে থমকে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
শ্রীলঙ্কা শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে ঝড় তুলেছিলেন শানাকা। ৩৭ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার সাথে পঞ্চম উইকেটে ২৭ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন শানাকা।
১৫ থেকে ১৮ ওভারে ৫৫ রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। তখন মনে হচ্ছিল তারা ২০০ রানের কাছাকাছি চলে যাবে। কিন্তু ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ওই ওভারের প্রথম বলেই রানআউট হন ১২ বলে ২১ রান করা আসালাঙ্কা।
আর তাসকিন শেষ ওভারে দিয়েছেন ১০ রান। ৪টি ডট বল দেন, শেষ বলে ছক্কা না হলে সেটি থামত চার রানে। এই দুটি ওভারেই মূলত ম্যাচের গতি পাল্টে যায় বলে মনে করেন শানাকা।
সংবাদ সম্মেলনে শানাকা বলেন, ‘আমাদের একটা ভালো মোমেন্টাম ছিল, কিন্তু চারিথ আউট হওয়ার পর সেটা কিছুটা হারিয়ে ফেলি। মুস্তাফিজ আর তাসকিন শেষের ওভারে দারুণ বল করেছে। আমরা ১৮০ রান আশা করছিলাম, কিন্তু সেটা পারিনি।’
মুস্তাফিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা ও আইপিএল খেলার বিষয়টিও তুলে ধরেন শানাকা। তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ অবশ্যই একজন উচ্চমানের খেলোয়াড়। সে আইপিএল খেলছে, প্রায় ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। অনেক অভিজ্ঞতা আছে তার। তাই কৃতিত্ব তার প্রাপ্য।’
শেষে শানাকা আরও যোগ করেন, ‘আসলে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা ছিল না। যেদিন যার দিন থাকে, সেই আধিপত্য করে। এটাই ক্রিকেট। ফিজ এখন খুব ভালো বল করছে, তাকে সম্মান জানাতেই হবে। তবে আমি তাকে একজন সাধারণ বোলারের মতোই খেলি।’
বাংলাদেশের এই জয়ে বড় কৃতিত্ব যেমন ব্যাটারদের, তেমনি মুস্তাফিজ ও তাসকিনের শেষ দুই ওভারের বোলিংই শ্রীলঙ্কার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলেই মনে করেন লঙ্কান এই অলরাউন্ডার।