বিপিএলে বাড়ছে প্রাইজমানি, আরও যে সুবিধা পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। পুরনো বিতর্ক মাড়িয়ে এবার নতুনভাবে বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। যদিও স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপিএল আয়োজন নিয়ে নানা শঙ্কা রয়েছে। সেসব দূর করতে কাজও করছে বিসিবি। গুছিয়ে এনেছে অনেক কিছু। আগামী আসরে বাড়ছে প্রাইজমানি।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে বিপিএলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন।
বিপিএলের প্রাইজমানি বাড়ার কথা জানিয়ে আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আকর্ষণ করার জন্য বেশ কিছু রেভেনিউ শেয়ারিং মডেল নিয়ে এসেছি। আমাদের প্রাইজমানিতে এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, রানার্স আপ দল পাবে ১ কোটি ৭৫ লাখ।’
বিশ্বের বিভিন্ন লিগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার করে বোর্ডগুলো। অনেকদিন ধরেই বিপিএলের দলগুলো এই দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এবার বিসিবি সেই উদ্যোগ নিয়েছে।
বিসিবি পরিচালক আমজাদ বলেন, ‘আমাদের তিনটা যে মেজর আয়ের উৎস, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিডিয়া রাইটস, গ্রাউন্ড রাইটস আর টিকিট বিক্রি থেকে আয়, এই তিনটারই নেট প্রফিটের উপর ৩০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আকর্ষণ করতে আরও বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। সেটি নিয়ে আমজাদ বলেন, ‘এছাড়াও আমাদের যে গ্রাউন্ড প্যারামিটার বোর্ড থাকবে, যখন যে দলের খেলা হবে, ওই বোর্ডে তখন ম্যাচের ৩০ মিনিট সময় একেটি দলের জন্য বরাদ্দ থাকবে। দলগুলো ওই সময়ের মধ্যে তাদের স্পনসরদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারবে বিনামূল্যে।’
এবার ফ্র্যাঞ্চাজি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে দুই কোটি টাকা। এটি নিয়ে আমজাদ বলেন, ‘যারাই আবেদন করবে (ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে), দুই কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। যেটা প্রথম বছরে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি হিসেবে বিবেচিত হবে। যাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে না বা যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবে না, পরবর্তী কার্যদিবসেই তাদের সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সবকিছু নিশ্চিত করার জন্য ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। এটার সময়সীমা থাকবে ছয় মাস। এর মধ্যে কাভার করতে হবে।’