সবাইকে পেছনে ফেলে শীর্ষে রোনালদো

আকাশচুম্বী পারিশ্রমিকে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এখনো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতেই আছেন তিনি। চলতি বছরে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন আরও দুই বছর। আগে থেকেই অ্যাথলেটদের মধ্যে আয়ে সবার ওপরে ছিলেন রোনালদো। ফলে ফুটবলারদের মধ্যে আয়েও সবাইকে পেছনে ফেললেন সিআরসেভেন।
ফোর্বস সাময়িকী প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারের তালিকায় সবার ওপরে রোনালদো। আল নাসরের পর্তুগিজ তারকার এই বছরের আয় ২৮ কোটি ইউরো। এর আগে গত মে মাসে প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেটদের তালিকায় তৃতীয়বারের মতো শীর্ষে জায়গা করে নেন রোনালদো।
ফোর্বসের তালিকার দ্বিতীয় নামটি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির। ইন্টার মায়ামিতে খেলা এই ফুটবল জাদুকরের আয় বছরে ১৩ কোটি ইউরো।
রোনালদোর বেশির ভাগ আয় ক্লাব থেকে হলেও মেসির বেশিরভাগ আয় মাঠের বাইরের চুক্তি থেকে আসে। অ্যাডিডাস, লেইস, মাস্টারকার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি আছে মেসির। গত বছর একটি স্পোর্টস ড্রিংকও এনেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
প্রথমবারের মতো তালিকার সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন ‘ওন্ডার কিড’ খ্যাত স্প্যানিশ তারকা লামিনে ইয়ামাল। মাঠের ফুটবলের মতো আর্থিক দিক দিয়েও বড় উন্নতি হয়েছে তার। ফোর্বসের তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন তিনি।
ফোবর্সের তথ্য মতে, ইয়ামাল বছরে আয় ৪ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। তারও আয়ের বড় উৎস মূলত মাঠের বাইরের চুক্তি থেকেই। বিস্ট বাই ড্রে, অ্যাডিডাস, কোনামি এবং পাওয়ারএডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি আছে ইয়ামালের। এর সঙ্গে ২০৩১ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেছে গত মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জেতা বার্সেলোনা।
তালিকার তিন নম্বরে আছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল ইত্তিহাদে যোগ দেওয়া করিম বেনজেমা। ফরাসি স্ট্রাইকারের বছরে আয় ১০ কোটি ৪০ লাখ ইউরো। সেরা পাঁচে থাকা অন্য দুজন হলেন-রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে (৯ কোটি ৫০ লাখ ইউরো) ও ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড (৮ কোটি ইউরো)।
ফোর্বসের তালিকার ছয় নম্বরে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। তার বছরে আয় ৬ কোটি ইউরো। সাত নম্বরে আছেন লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মেদ সালাহ। তার বছরে আয় ৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।
সেরা দশের আট ও নয় নম্বরে আছেন যথাক্রমে আল নাসরের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে ও রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। মানের আয় বছরে ৫ কোটি ৪০ লাখ ইউরো আর বেলিংহ্যামের আয় ৪ কোটি ৪০ লাখ ইউরো।