ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে জয়ের নায়ক রিশাদ

অন্য বোলারদের দেখেশুনে খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। দেখে মনে হয়নি, বাংলাদেশের বোলাররা তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছে। দৃশ্যপটে আসলেন রিশাদ হোসেন। উল্টে দিলেন পাশার দান। ক্যারিবীয়দের টপ অর্ডারকে দুমড়ে-মুচড়ে দিলেন। ৭৯ থেকে ৯২– ১৩ রানের মধ্যে হারিয়েছে চার উইকেট। উদ্বোধনী জুটিও ভাঙেন রিশাদ। সবমিলিয়ে, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারের দেখা পেলেন এই লেগস্পিনার।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশকে আলোর পথ দেখিয়েছেন রিশাদ হোসেন। কালো উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল, মন্থর ব্যাটিংয়ে ভারী হয় পাল্লা। সেখানেই ফায়দা নিলেন রিশাদ। তার স্পিন ঘূর্ণিতে কাত হয় উইন্ডিজ ব্যাটাররা।
রিশাদ শুরুটা করেন উইন্ডিজ ওপেনার অ্যালিক আথানাজেকে ফিরিয়ে। বিনা উইকেটে ৫১ রান তুলে ক্যারিবীয়রা যখন ঝড়ের আভাস দিচ্ছিল, তখনই উল্টো আঘাত হানেন মিরাজ। ২৭ রান করা অ্যালিককে ফেলেন লেগবিফোরের ফাঁদে। এরপর কিচি কার্টিকে দিয়ে নিজের দ্বিতীয় দফা শুরু করেন।
ক্রমান্বয়ে রিশাদের শিকার হন ব্র্যান্ডন কিং, শিরফানে রাদারফোর্ড ও গুরাকেশ মোতি। ততক্ষণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। রিশাদের নামের পাশে যুক্ত হয় ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৯ ওভারে কোনো মেডেন না পেলেও ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক তিনিই।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের রান ২০০ পার হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। রিশাদ হোসেনের কল্যাণে শঙ্কা দূর হয়। ইনিংসে যে তিনটি ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশ, দুটিই এসেছে রিশাদের ব্যাট থেকে। সিলসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে একটি চার ও দুই ছক্কায় ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও উপহার দেন রিশাদ।